স্ট্রোক (Stroke):
পিস্টন সিলিন্ডারের অভ্যন্তরে একবার টিডিসি থেকে বিডিসি পর্যন্ত অথবা বিডিসি থেকে টিডিসি পর্যন্ত দূরত্ব
অতিক্রম করলে তাকে একটি স্ট্রোক বলে।
যে ইঞ্জিন দুই স্ট্রোকে শক্তি উৎপন্ন করে, তাকে টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন এবং | যে ইঞ্জিন চার স্ট্রোকে শক্তি উৎপন্ন করে, তাকে ফোর-স্ট্রোক ইঞ্জিন বলা হয়।
ভলিউমেটিক ইফিসিয়েন্সি (Volumetric Efficiency):
সাকশন স্ট্রোকে ইনলেট ভালভ খােলা থেকে বন্ধ হওয়ার সময়টুকুর মধ্যে বাতাস ও জ্বালানির যে মিশ্রণ প্রবেশ করে এবং সিলিন্ডারের মধ্যকার আয়তন এ দুটোর অনুপাতকে ভলিউমেট্রিক ইফিসিয়েন্সি বলা হয়।
যে ইঞ্জিনের ভলিউমেট্রিক ইফিসিয়েন্সি যত বেশি, সে ইঞ্জিন তত বেশি, শক্তিশালী এটি সাধারণত ৮০% হয়ে থাকে। টর্ক (Torque) পাওয়ার স্ট্রোকে পিস্টন যখন নিচের দিকে ধাবিত হয় কানেকটিং রডের সাহায্যে ক্র্যাংক শ্যাফটকে জোরে ঘুরাবার। জন্য মােচড় বা ধাক্কা দেয়, পিস্টনের ধাক্কা যত শক্তিশালী হবে টর্কও তত বাড়বে এবং ক্র্যাংক শ্যাফটও তত
বেশি ঘূর্ণায়মাণ হবে।
ক্লিয়ারেন্স ভলিউম (Clearance Volume):
পিস্টন সিলিন্ডারের টিডিসিতে পৌছানাের পর সিলিন্ডার হেড এবং পিস্টন হেডের মাপে বা মধ্যবর্তী যে ফাকা। জায়গা থাকে তাকে ক্লিয়ারেন্স ভলিউম বলে। একে কম্বাৰ্শন চেম্বারও বলা হয়। উক্ত স্থানেই দহন কার্য সম্পন্ন হয়।