কার এয়ার কন্ডিশন সিস্টেমের প্রকারভেদ

কার এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম এবং প্রকারভেদ:

অরিফিস টিউব এবং একুমুলেটর সিস্টেমঃ 

অরিফিস টিউব এবং একুমুলেটর সিস্টেমে একটি অরিফিস টিউব যেটা ইভাপরেটরের আগে এবং একুমুলেটর যেটা কম্প্রেরের আগে স্থাপন করা থাকে। অরিফিস টিউব রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো কে কন্ট্রোল করে । এবং একুমুলেটর রেফ্রিজারেন্টকে ধরে রাখে এবং রেফ্রিজারেন্ট থেকে আদ্রতা দূর করে এবং কারের মধ্যে সারকুলেশন সাহায্য করে ।

এক্সপানশন ভাল্ব এবং রিসিভার ড্রায়ার সিস্টেমঃ 

এই সিস্টেমে এক্সপানশন ভাল্ব ইভাপরেটরের সামনে এবং রিসিভার ড্রায়ার কন্ডেন্সার এবং এক্সপানশন ভাল্বের মধ্যে স্থাপন করা থাকে।এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম মূলত যে কোন রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত তাপমাত্রাকে কমিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বা তার চেয়ে কমে আনার জন্য এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। আমরা যেমন রুমের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্য এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম ব্যবহার করি ঠিক তেমনি প্রাইভেট কার বা গাড়ির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্যও এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। 

অটোমোবাইল এ সাধারনত প্রধান দুই প্রকারের এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়ঃ 

১। অরিফিস টিউব এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম 

২। এক্সপানশন ভাল্ব সিস্টেম অথবা কোন কোন গাড়িতে এই দুটির যৌথ ব্যবহার করা হয়। এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম এ সাধারনত কম্প্রেশর, কন্ডেন্সার, ইভাপরেটর, একুমুলেটর (রিসিভার-ড্রায়ার), এবং অরিফিস টিউব (অথবা এক্সপানশন ভাল্ভ)।


অতপর এই কম্পনেন্ট গুলোর কোনটার কি কাজ এবং প্রত্যেক কম্পনেন্ট কোনটার সাথে কিভাবে যুক্ত হয়ে এসি সিস্টেম পরিচালিত হচ্ছে সেটাই আজকে জানবসম্পুর্ন প্রক্রিয়াঃ

কম্প্রেসর হয়ে হাই প্রেসার গ্যস (১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস/~১৮ বার) > কন্ডেন্সার হয়ে (হাই প্রেসার লিকুইড (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস/~১৭ বার) > এক্সপানশন ভাল্ব হয়ে (লো প্রেসার লিকুইড, ~১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস~ ৪ বার) > ইভাপরেটর হয়ে (লো প্রেসার গ্যস,~ ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,~৩ বার) > কম্প্রেসর। এই প্রক্রিয়ায় বার বার এয়ার কন্ডিশন সিস্টেমে রিপিট হয়।

কম্প্রেসরঃ 

কম্প্রেসর হচ্ছে একটী পাম্প যেটা ফ্রেয়নকে সম্পুর্ন এসি সিস্টেমে সঞ্জালিত করছে। প্রথমে ফ্রেয়নকে কম্প্রেশর চুষে নেয় তারপর এসি সিস্টেমে উচ্চ প্রেসারে গ্যাস আকারে সঞ্জালন করে। কম্প্রেশর কার ইঞ্জিনের ক্র্যঙ্কশ্যাফটের মাধ্যেমে ঘুরে।


কার কম্প্রেসর সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে 

১। রেসিপ্রকেটিং টাইপ এবং 

২।রোটারি টাইপ। 

রেসিপ্রকেটিং টাইপ আবার দুই ধরনের যেমনঃ সোয়াস টাইপ এবং ক্র্যাংক টাইপ।

কন্ডেন্সারঃ 

কন্ডেন্সার কম্প্রেসর এর পরে যুক্ত করা হয় এবং এটি কম্প্রেসর থেকে আসা উচ্চ প্রেসার এবং উচ্চ তাপমাত্রার (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস/~১৭ বার) লিকুইড রেফ্রিজারেন্ট কন্ডেন্সারের মাধ্যমে ফ্যান এর সাহায্যে হাই প্রেসার লিকুড কম তাপমাত্রায় পরিনত করে এবং এক্সপানশন ভাল্বে চলে যায়।

এক্সপানশন ভাল্বঃ

এক্সপানশন ভাল্ব উচ্চ প্রেসার এবং উচ্চ তাপমাত্রার লিকুইডকে নিম্ন তাপমাত্রায় এবং নিম্ন চাপে পরিনত করে ইভাপরেটরে পাঠায়।

ইভাপরেটরঃ

ইভাপরেটরে যখন নিম্ন চাপের এবং নিম্ন তাপমাত্রার লিকুড প্রাবাহিত হয় তখন ইভাপরেটর লিকুইডে থাকা তাপকে চুষে নেয় এবং কন্ডেন্সারের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত লিকুইড কম চাপের গ্যাসে পরিনত হয় এবং আবার কম্প্রেসরে ফিরে যায়। 

রিসিভার ড্রায়ারঃ

রিসিভার ড্রায়ার হচ্ছে একটি ডিভাইস। অনেক সময় কন্ডেন্সার হতে ভ্যাপার আসার পরিবর্তে লিকুইড আসে যেটা কম্প্রেসরে প্রবেশ করলে কম্প্রেসর নষ্ট করে দেয়। তাই রিসিভার ড্রায়ার বসানো হয় যেন কোন লিকুইড কম্প্রেসরে প্রবেশ না করতে পারে এবং এটি লিকুইডকে ভ্যপর এ পরিবর্তিত করে।এসি ইনলাইন ফিল্টারঃ

এসি ইনলাইন ফিল্টার ব্যবহার করলে অপরিস্কার এয়ারকে ফিল্টারিং করে পরিস্কার বাতাসে পরিনত করে।

একুমুলেটরঃ

একুমুলেটর রেফ্রিজারেন্টকে ধরে রাখে এবং রেফ্রিজারেন্ট থেকে আদ্রতা দূর করে এবং কারের মধ্যে সারকুলেশন সাহায্য করে।


কার এসি সিস্টেমের প্রকারভেদ :

১। অরিফিস টিউব এবং 

২। একুমুলেটর সিস্টেম।

অরিফিস টিউব এবং একুমুলেটর সিস্টেমে একটি অরিফিস টিউব যেটা ইভাপরেটরের আগে এবং একুমুলেটর যেটা কম্প্রেরের আগে স্থাপন করা থাকে। অরিফিস টিউব রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো কে কন্ট্রোল করে । এবং একুমুলেটর রেফ্রিজারেন্টকে ধরে রাখে এবং রেফ্রিজারেন্ট থেকে আদ্রতা দূর করে এবং কারের মধ্যে সারকুলেশন সাহায্য করে ।

এক্সপানশন ভাল্ব এবং রিসিভার ড্রায়ার সিস্টেমঃ 

এই সিস্টেমে এক্সপানশন ভাল্ব ইভাপরেটরের সামনে এবং রিসিভার ড্রায়ার কন্ডেন্সার এবং এক্সপানশন ভাল্বের মধ্যে স্থাপন করা থাকে।

কার এয়ার কন্ডিশন সিস্টেমের প্রকারভেদ
কার এয়ার কন্ডিশন সিস্টেম



Post a Comment

Previous Post Next Post