ওভারহলিং এর কারণ সমূহঃ
ইঞ্জিনের যে সকল সমস্যার কারণে ওভারহলিং করা হয় তা ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হলোঃ
টপ ওভারহলিং-এর কারণ সমূহঃ (Causes Of Top Overhauling):
ইঞ্জিনে নিম্নবর্ণিত উপসর্গ দেখা দিলে টপ ওভারহলিং করতে হয়-
1. সাইলেন্সার পাইপ দিয়ে কালো-নীলাভ অথবা সাদা ধোঁয়া বের হলে।
2. ইঞ্জিনের হেড ও ব্লকের ফাঁক দিয়ে চার্জ অথবা সাদা ধোঁয়া বের হলে।
3. ইঞ্জিনে খটখট আওয়াজ বা ভালভ মেকানিজমের আওয়াজ বেড়ে গেলে।
4. ইঞ্জিনের হেডে কার্বন জমা এবং টাইমিং-এ ত্রুটির জন্য ফটফট আওয়াজ করলে।
5. হেড গ্যাসকেট কেটে বা নষ্ট হয়ে গেলে।
6. ইঞ্জিনের ঘূর্ণন গতি কমে গেলে।
7. বাতাস পরিষ্কারক ও গ্রহন মেনিফোল্ড বন্ধ হয়ে বাতাস পরিমাণের তুলনায় কম হলে ও অধিক কালো ধোঁয়া ছাড়লে।
8. নির্গমন মেনিফোল্ড বন্ধ হওয়ার কারণে পোড়া গ্যাস ঠিকমত বের না হলে ও ইঞ্জিন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে ইত্যাদি।
মাইনর ওভারহলিং-এর কারণ সমূহঃ (Causes Of Minor Overhauling):
ইঞ্জিনে নিম্নবর্ণিত উপসর্গ দেখা দিলে মাইনর ওভারহলিং করতে হয়-
1. সাইলেন্সার পাইপ দিয়ে কালো-নীলাভ অথবা সাদা ধোঁয়া বের হলে।
2. ইঞ্জিনে খটখট আওয়াজ বা ভালভ মেকানিজমের আওয়াজ বেড়ে গেলে।
3. হেড গ্যাসকেট কেটে বা নষ্ট হয়ে গেলে।
4. ইঞ্জিনের ঘূর্ণন গতি কমে গেলে ইত্যাদি।
মেজর ওভারহলিং-এর কারণ সমূহঃ (Causes Of Major Overhauling):
ইঞ্জিনে নিম্নবর্ণিত উপসর্গ দেখা দিলে মেজর ওভারহলিং করার প্রয়োজন হয়-
1. মোটরযান 50 হাজার থেকে 1 লক্ষ কিলোমিটার অথবা 15 থেকে 20 বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবে চলার পর মেজর ওভারহলিং করতে হয়।
2. সাইলেন্সার পাইপ দিয়ে গদগদ করে কালো,নীলাভ অথবা সাদা ধোঁয়া বেরুলে।
3. ইঞ্জিনের কার্যসম্পাদনা হ্রাস পেলে।
4. অত্যধিক জ্বালানি খরচ হলে।
5. অত্যধিক পিচ্ছিলকরন তেল খরচ হলে।
6. ইঞ্জিন চলাকালে ঘর্ষণজনিত কারণে অত্যধিক খারাপ শব্দ উৎপন্ন হলে।
7. সিলিন্ডারের দেয়াল অত্যধিক ক্ষয় হয়ে সংকোচন লিক করলে।
8. ইঞ্জিন অত্যধিক উত্তপ্ত হলে।
9. মোটরযান অথবা ইঞ্জিন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইত্যাদি।