সিলিং ফ্যান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তরঃ
১। সিলিং ফ্যানের (সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকশন মােটর) কার্যপ্রনালি কি?
Image: Parts of celing fan |
উত্তরঃ সিলিং ফ্যান হলাে সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকশন মটর। আমরা জানি এক ফেজ মটর সয়ংক্রিয়ভাবে চালু হতে পারে না। কারন এতে যখন এক ফেজ সাপ্লাই দেওয়া হয় তখন পজিটিভ অর্ধসাইকেলে যে চুম্বক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় পরবর্তী নেগেটিভ অর্ধসাইকেলে তার বিপরীতমুখী চুম্বক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। ফলে চুম্বক্ষেত্র ঘুর্ণয়মান হয় না। এ কারনে ইহা চলতে পারেনা। আর এজন্য এক ফেজ মটর বা ফ্যানে একটি সাহায্যকারী কয়েল বা স্টাটিং কয়েলের সহিত সিরিজে একটি ক্যাপাসিটর সংযােগ করা হয় যার ফলে ইহা আর একটি ফেজে রূপান্তরিত হয়। যখন এতে সাপ্লাই দেওয়া হয় তখন রানিং এবং স্টার্টিং কয়েলের মধ্যে ফেজ ডিফারেন্স থাকায় (দুটি ফেজের ন্যায় কাজ করে) ঘুর্নয়মান চুম্বকক্ষেত্রের তৈরি হয় ফলে মটর বা ফ্যান ঘুরতে আরম্ব করে। এভাবে সিলিং ফ্যান (সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকশন মােটর) কাজ করে থাকে।
২। সিলিং ফ্যান কি ধরনের মােটর?
উত্তরঃ সিঙ্গেল ফেজ ইন্ডাকশন মােটর।
৩। সিলিং ফ্যানের ভােল্টেজ গ্রেডের মান কত?
উত্তরঃ ২৩০ ভােল্টেজ।
৪। সিলিং ফ্যানের পাওয়ার কত ধরা হয়?
উত্তরঃ ৪৮ ইঞ্চি ৬০ ওয়াট, ৫৬ ইঞ্চি ৮০ ওয়াট। সর্বোচ্চ 100 ওয়াট ধরা হয়।
৫। সিলিং ফ্যান কানেকশনের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলের সাইজ কত?
উত্তরঃ 1.5 mm2 [অনেকে ১.৫ আর এম বলে থাকেন]
৬। একটি ৮০ ওয়াট সিলিং ফ্যান কত কারেন্ট নিবে?
উত্তরঃ I =P÷ V×pf×η
= (80÷230×.8×.8)
= 0.54 Amp
এখানে, P = পাওয়ার (সিলিং ফ্যানের) ৪০ watt V = ভােল্টেজ (1-$, 230V) P.F = পাওয়ার ফ্যাক্টর (ধরি ০.৪) n (eta) = Efficiency (ধরি 0.8)
৭। সিলিং ফ্যান ফ্লোর থেকে কত মিটার উপরে থাকবে?
উত্তরঃ ২.৫০ মিটার/৮ ফুট।
৮। একটি সিলিং ফ্যান থেকে আরেকটি সিলিং ফ্যানের মধ্যবর্তী দূরত্ব কত থাকবে?
উত্তরঃ
No. | Fan Size | Distance between Two Fans |
---|---|---|
1. | 36” (900 mm) | 1.8 Meter |
2. | 48" (1200 mm) | 2.5 Meter |
3. | 56" (1400 mm) | 3 Meter |
বাস্তবে প্রতিটি সিলিং ফ্যানের দূরত্ব 7 থেকে ৪ ফুট রাখা হয়।
৯। সিলিং ফ্যানের বিভিন্ন দূরত্ব *
উত্তরঃ রুমে সিলিং ফ্যানের বিভিন্ন দূরত্ব।
1. | সিলিং ফ্যান ব্রেড এবং মেঝে থেকে | 7 ফুট |
2. | ফুট সিলিং ফ্যান ব্রেড এবং সিলিং থেকে | ৪ থেকে 10 ইঞ্চি (সর্বনিম্ন) |
3. | সিলিং ফ্যান ব্রেড এবং হালকা ফিক্সচার থেকে | 39 ইঞ্চি |
4. | সিলিং ফ্যান ব্রেড এবং ওয়াল থেকে | 18 ইঞ্চি |
১০। সিলিং ফ্যানে কয়টি ব্লেড (পাখা) থাকে?
উত্তরঃ ৩টি, ৪টি। তিন ব্লেড বিশিষ্ট সিলিং ফ্যান বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
১১। সিলিং ফ্যানের ব্রেডগুলাে (পাখা) কত ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে লাগানাে থাকে?
উত্তরঃ ৯০ ডিগ্রি।
১২। সিলিং ফ্যানের পাখা উল্টা ঘুরলে কিভাবে ঠিক করবেন?
উত্তরঃ ক্যাপাসিটরের কানেকশন বদল করে, আথবা হয় রানিং না হয় স্ট্র্যাটিং কয়েল কানেকশন বদল করে ঠিক করা যায়।
১৩। সিলিং ফ্যানের সাইজ কি কি হয়ে থাকে?
উত্তরঃ ৩৬ ইঞ্চি (915 mm), ৪৮ ইঞ্চি (1220 mm), ৫৬ ইঞ্চিঃ (1442 mm)।
১৪। সিলিং ফ্যানে কয়টি কয়েল থাকে?
উত্তরঃ ২টি কয়েল থাকে।
১৫। সিলিং ফ্যানের কয়েল দুটির নাম কি?
উত্তরঃ স্টার্টিং কয়েল ও রানিং কয়েল।
১৬। এখানে কোনটা স্টাটিং কয়েল, কোনটা রানিং কয়েল?
উত্তরঃ আমরা জানি স্টাটিং কয়েলের রেজিস্ট্যান্স বেশি থাকে। আর আমরা এও জানি যে, রেজিস্ট্যান্স দৈর্ঘ্যের সাথে সমানুপাতিক অর্থাৎ দৈর্ঘ্য যত বাড়বে তার সাথে রেজিস্ট্যান্স ও বাড়বে।
সেই হিসাবে এখানে দেখতে পাচ্ছি যে বাহিরের কয়েলটিতে পাক সংখ্যা অনেক বেশি আছে এবং এটা হচ্ছে চিকন, তাহলে এটা হচ্ছে স্টাটিং কয়েল। আর ভিতরেরটার পাক সংখ্যা বেশ কম, তার মানে এটা হচ্ছে রানিং কয়েল।
[যাদের এই প্রশ্নটি করবে তারা ভাল করে দেখে ধরে বলবেন]
১৭। স্টার্টিং কয়েল ও রানিং কয়েল চেনার উপায় কি?
উত্তরঃ কয়েলের রেজিস্ট্যান্স মেপে এটি বের করতে হবে। যে কয়েলের রেজিস্ট্যান্স বেশি সেটি স্টার্টিং কয়েল আর যে কয়েলের রেজিস্ট্যান্স কম সেটি হল রানিং কয়েল।
১৮। এই মিটারটি দিয়ে স্টাটিং ও রানিং কয়েল বের করুন?
উত্তরঃ Avo মিটারটিকে ওহম এ সেট করি। A, B এর মধ্যে রেজিস্ট্যান্স = 320 Ω (ওহম) A, C এর মধ্যে রেজিস্ট্যান্স = 280 Ω (ওহম) B, C এর মধ্যে রেজিস্ট্যান্স = 600 Ω (ওহম)।
যে দুটির মাঝে বেশি রেজিস্ট্যান্স পাওয়া গেছে সেটির অপর প্রান্ত হল কমন প্রান্ত। আর কমন প্রান্তের সাপেক্ষে যে কয়েলটিতে বেশি রেজিস্ট্যান্স পাওয়া গেছে সেটি স্টাটিং কয়েল। আর যে কয়েলটি বাকি থাকে সেটা রানিং কয়েল।
১৯। সিলিং ফ্যানের কয়েলের রেজিস্ট্যান্স কত হয়ে থাকে?
উত্তরঃ বিভিন্ন কোম্পানিভেদে সিলিং ফ্যানের স্টার্টিং, রানিং এবং কমন প্রান্তের রেজিস্ট্যান্স 150 Ω (ওহম) থেকে 450 Ω (ওহম) এর মধ্যে অথবা এর কম বেশী হয়ে থাকে।
২০। সিলিং ফ্যান কোন শ্রেণীর রেজিস্ট্যান্স?
উত্তরঃ সিলিং ফ্যান হলাে মিডিয়াম শ্রেণীর রেজিস্ট্যান্স। 1 ওহম থেকে 100kΩ রেঞ্জের রেজিস্ট্যান্সকে মিডিয়াম রেজিস্ট্যান্স বলে। সকল ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির রেজিস্ট্যান্স এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, যেমন- ইলেকট্রিক ফ্যান, ইলেকট্রিক হিটার, এনার্জি সেভিং ল্যাম্প, ইনক্যান্ডিসেন্ট ল্যাম্প ইত্যাদি।
২১। সিলিং ফ্যানের কোন কয়েলে টার্ন/প্যাচ বেশী হয়? উঃ স্টার্টিং কয়েলে।
২২। সিলিং ফ্যানের কোন কয়েলে টার্ন/প্যাচ কম হয়?
উত্তরঃ রানিং কয়েলে।
২৩। সিলিং ফ্যানের কোন কয়েলে রেজিস্ট্যান্স বেশী থাকে?
উত্তরঃ স্টার্টিং কয়েলে।
২৪। সিলিং ফ্যানের কোন কয়েলে রেজিস্ট্যান্স কম থাকে?
উত্তরঃ রানিং কয়েলে।
২৫। কোন কয়েল টেস্ট ল্যাম্প দিয়ে চেক করলে বাতি বেশী জ্বলবে?
উত্তরঃ রানিং কয়েল।
২৬। কোন কয়েল টেস্ট ল্যাম্প দিয়ে চেক করলে বাতি কম জ্বলবে?
উত্তরঃ স্টার্টিং কয়েল।
২৭। সিলিং ফ্যানের কয়েল কয়ভাবে বাধা যায়?
উত্তরঃ দুই ভাবে, চেইন কয়েল ও বক্স কয়েল।
২৮। সিলিং ফ্যানের কয়েল বাঁধাই করার তারের নাম কি?
উত্তরঃ সুপার এনামেল ওয়্যার
২৯। সিলিং ফ্যানের কয়েল বাধার তারের সাইজ কত?
উত্তরঃ ৩৪, ৩৫ ও ৩৬ নং সুপার এনামেল কপার ওয়্যার।
৩০। সিলিং ফ্যানে কি ধরনের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ বল বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়।
৩১। সিলিং ফ্যানের বিয়ারিং এর সাইজ কত?
উত্তরঃ সিলিং ফ্যানে সাধারণত তিন সাইজের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ৬২০১, ৬২০২ ও ৬২০৩।
৩২। সিলিং ফ্যানের কোন দিকের বল বিয়ারিং সাধারনত আগে খারাপ হয়?
উত্তরঃ উপরের বিয়ারিং খারাপ হয়।
৩৩। বিয়ারিং এ শব্দ কেন হয়?
উত্তরঃ
১. কোন কারণে ফ্যান এর বডি নিচে পড়ে গেলে বা আঘাত প্রাপ্ত হলে।
২. ফ্যানের বিয়ারিংয়ের মধ্যে পানি, কোন পাউডার জাতীয় পদার্থ, ময়লা ইত্যাদি গিয়ে বিয়ারিং জ্যাম হলে।
৩. ফ্যান চালু অবস্থায় ফ্যানের বডি অতিরিক্ত কাপলে।
৩৪। সিলিং ফ্যানে কোন ধরনের ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ অয়েল টাইপ ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয়।
৩৫। সিলিং ফ্যানে ব্যবহৃত ক্যাপাসিটরের মান কত?
উত্তরঃ ২.৫ ও ৩.৫ মাইক্রো ফ্যারাড।
৩৬। ক্যাপাসিটর কোন কয়েলের সাথে সংযুক্ত থাকে?
উত্তরঃ ক্যাপাসিটর স্টার্টিং কয়েলের সাথে সিরিজে সংযুক্ত থাকে।
৩৭। কোন কয়েলের সাথে ক্যাপাসিটর প্যারালাল সংযােগে থাকে?
উত্তরঃ রানিং কয়েলের সাথে ক্যাপাসিটর প্যারালাল সংযােগে থাকে।
৩৮। ক্যাপাসিটরের কাজ কি?
উত্তরঃ স্টার্টিং সময়ে সিলিং ফ্যান চালু করে রানিং সময়ে পাওয়ার ফ্যাক্টরের মান ঠিক রাখে। উঃ ফেজ অ্যাঙ্গেল তৈরির মাধ্যমে টর্ক তৈরি করাই ক্যাপাসিটরের কাজ।
৩৯। কোন সংযােগে ক্যাপাসিটরের মান বাড়ে?
উত্তরঃ প্যারালাল সংযােগে।
৪০। সিলিং ফ্যানে (ক্যাপাসিটর মােটরে) ক্যাপাসিটরের শর্ট টাইম ডিউটি কেমন থাকে?
উত্তরঃ ঘণ্টায় 20 বার এবং প্রতি বারের সময় তিন সেকেন্ডের উর্ধ্বে নয়।
৪১। আমাদের দেশে কিছু সিলিং ফ্যান ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানির নাম বলুন?
উত্তরঃ BRB, Walton, Jamuna, National, ABC, Click, Superstar etc.
৪৫। সিলিং ফ্যানের কোনটি ঘােরে?
উত্তরঃ সিলিং ফ্যানের রােটর ঘােরে।
ফিল্ড কয়েল যে কোন মােটরের যে অংশটি ঘােরে সেটি হচ্ছে রােটর, আর যেটি স্থির থাকে সেটা হচ্ছে স্টেটর। যে কয়েলটি চুম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে সেটি হচ্ছে ফিল্ড। আর যেটি চুম্বক ক্ষেত্র গ্রহণ করে সেটি হচ্ছে আর্মেচার। অতএব, তাহলে বলা যায় যে অংশটি ঘােরে সেটি হচ্ছে রােটর বা আর্মেচার।
৪৬। সিলিং ফ্যানের (এক ফেজ ইন্ডাকশন মােটরের) গতি উল্টাকরণের মূলনীতি কী?
উত্তরঃ এক ফেজ ইন্ডাকশন মােটরের বাহির হতে মেইন বা রানিং ওয়াইন্ডিং অথবা সাহায্যকারী ওয়াইন্ডিং এর যে-কোন একটির সংযােগ উল্টে দেয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। এতে মােটর প্রচলিত দিকে ঘুরার পরিবর্তে বিপরীত দিকে ঘুরে থাকে।
৪৭। সিলিং ফ্যানের সার্কিট ডায়াগ্রাম অংকন করুন/সিঙ্গেল ফেজ মােটরের সার্কিট ডায়াগ্রাম
উত্তরঃ
৪৮। সিলিং ফ্যানের রেগুলেটর কোথায় এবং কিভাবে সংযােগ করা হয়?
উত্তরঃ সুইজের আউটপুটে সিলিং ফ্যানের সাথে সিরিজে সংযােগ করা হয়।
৪৯। ফ্যান রেগুলেটর কী?
উত্তরঃ যে সার্কিটের মাধ্যমে ভােল্টেজ নিয়ন্ত্রণ করে ফ্যানের স্পিড বাড়ানাে ও কমানাে হয়, তাকে ফ্যান রেগুলেটর বলে।
৫০। একটি সিলিং ফ্যান কত স্পিডে ঘুরে?
উত্তরঃ একটি সিলিং ফ্যান সাধারণত ৩০০-৩৫০ RPM এ ঘুরে। (RPM = Rotation/Revolutions Per Minute)
৫১। সিলিং ফ্যানের স্পিড কমে যাওয়ার কারন কি? / ফ্যান কেন আস্তে ঘােরে?
উত্তরঃ
• পূর্ণ ভােল্টেজ পাচ্ছে না, না হয় ক্যাপাসিটর দুর্বল
• না হয় বল বিয়ারিং জ্যাম
• না হয় কয়েলের ইসুলেশন দূর্বল।
৫২। পাখা পূর্ণ বেগে ঘুরা সত্বেও বাতাস পাওয়া যায় না কেন?
উত্তরঃ পাখার ব্লেডের বাক কম, না হয় পাখার পিছনে প্রয়ােজনীয় ফাকা জায়গা নেই।
৫৩। সিলিং ফ্যান স্টার্ট দেওয়ার সংঙ্গে সংঙ্গে ইহার কানেকটিং রডে খট খট আওয়াজ হয়ে পরে আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায় কারন কি?
উত্তরঃ ইহার রডে রাবার বুশ নেই।
৫৪। সিলিং ফ্যানে কেন রাবার বুশ ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ রাবার বুশ কম্পন নিয়ন্ত্রণ এবং শব্দ দমন করে, তাছাড়াও লিকেজ প্রতিরােধ করে।
৫৫। ফ্যান কেন চালু অবস্থায় কাপে?
উত্তরঃ
১. ফ্যানের সমস্ত নাট ও বােল্ট ভালােভাবে টাইট না হলে।
২. ফ্যানের সবগুলাে ব্রেড বা পাখা সেটিং এর সময় সমান্তরাল না হলে বা উঁচু-নিচু হলে।
৩. কোন কারনে ব্রেড বা পাখা সেটিংয়ের সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বাকা হলে।
৫৬। সিলিং ফ্যানের বডিতে টেস্টার ধরলে টেস্টার জ্বলে কারণ কি?
উত্তরঃ কয়েলের ইনসুলেশন ফেইল হয়ে (নষ্ট হয়ে) বডির সাথে সংযুক্ত হয়ে গেছে তাই টেস্টার ধরলে জ্বলে।
৫৭। সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি যে, সিঙ্গেল ফেজ মােটরে মূলত এসি পাওয়ার সাপ্লাই দেওয়া হয়ে থাকে। যখন এর মধ্যে এসি সাপ্লাই দেওয়া হয়ে থাকে তখন এর মধ্যে অল্টারনেটিং চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। কিন্তু চুম্বক ক্ষেত্র থ্রী ফেজ মােটরের মত সিনক্রোনাস গতিতে ঘুরবে না। এর কারন হলাে অর্ধ পজিটিভ সাইকেল দ্বারা সৃষ্টি টর্ক ও অর্ধ নেগেটিভ সাইকেল দ্বারা সৃষ্টি টর্ক সমান ও বিপরীতমুখি হয়ে থাকে। এর ফলে দুটি টর্কের মিলিত মান শূন্য হয় বলে মােটর ঘুরতে পারে না।
মূলত এই কারনে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় ফলে ফেজ এঙ্গেল পার্থক্য (Difference) সৃষ্টি হয় যাতে টর্ক পার্থক্য হয়। এর ফলে মােটর ঘুরতে পারে। এই জন্য আমরা বাসাবাড়িতে যে ফ্যান ব্যবহার করি বা পানি উঠানাের জন্য যে মােটর ব্যবহার করে তাতে ক্যাপাসিটর লাগে।
৫৮। সিলিং ফ্যান/সিঙ্গেল ফেজ মােটরের বৈশিষ্ট্যগুলাে কি?
উত্তরঃ
(১) গঠন অত্যন্ত সরল।
(২) অর্থনৈতিকভাবে সাশ্রয়ী।
(৩) সিঙ্গেল ফেজ মােটর স্টার্ট দিতে কোন স্টার্টারের প্রয়ােজন পড়ে না।
(৪) এ মােটর বেশিরভাগই হাউজহােল্ড অ্যাপ্লায়েন্সের হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
(৫) মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ।
৫৯। ফ্যান আস্তে অথবা জোরে যেভাবে ছাড়া হােক বিদ্যুৎ কি একই খরচ হয়?
উত্তরঃ আমরা সাধারণত দুই প্রকারের ফ্যান রেগুলেটর ব্যবহার করে থাকি। যেমনঃ
(ক) ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর
(খ) ইলেকট্রনিক রেগুলেটর।
ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর তৈরি হয় ট্যাপিং যুক্ত ইন্ডাকটরের দ্বারা। বৈদ্যুতিক ফ্যান চলার সময় এই রেগুলেটর কমিয়ে দিলে ফ্যানের রােটেশন কমে কিন্তু রেগুলেটর উত্তপ্ত হয়। এই অপ্রয়ােজনীয় উত্তাপের কারনে বৈদ্যুতিক পাওয়ার খরচ হয়। ফলে ইলেকট্রিক্যাল রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম-বেশির সাথে রেগুলেটর লস যথাক্রমে বেশি ও কম হয় ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি যাই হােক, বিদ্যুৎ খরচ প্রায় একই হয়।
অন্যদিকে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর তৈরি হয় থাইরিস্টর জাতীয় ইলেকট্রনিক সুইচিং ডিভাইস দিয়ে। এতে অপ্রয়ােজনীয় উত্তাপের পরিমাণ অত্যন্ত নগন্য থাকায় রেগুলেটর লস হয় না বললেই চলে। ফলে বৈদ্যুতিক পাখার গতি কমালে বিদ্যুৎ খরচ কমে এবং পাখার গতি বাড়ালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে। তাই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করলে ফ্যানের গতি কম হলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
৬০। সিলিং ফ্যান রিওয়াইন্ডিং করতে কি কি মালামাল লাগে ?/ সিলিং ফ্যান রিওয়েন্ডিং করার মালামালের তালিকাসহ এস্টিমেট
উত্তরঃ
1) সিলিং ফ্যান
2) সুপার এনামেল ওয়্যার
3) ইনসুলেশন পেপার/লেদারয়েড পেপার
4) সিরিশ কাগজ (Leatherette Paper)
5) বার্নিশ
6) এম্পিয়ার টিউব or হিটসিং টিউব
7) কটন টেপ
৪) সােল্ডারিং লিড, রজন
9) পিভিসি ক্যাবল
সিলিং ফ্যানের কয়েল ওয়্যান্ডিংঃ
সিলিং ফ্যানের কয়েল দুধরনের ওয়্যান্ডিং করা থাকে। যথাঃ
১। সিঙ্গেল লেয়ার ওয়্যান্ডিং।
২। ডাবল লেয়ার ওয়্যান্ডিং।
সিলিং ফ্যানের স্টেটরে সাধারনত ২৪, ৩৬, ৪০, বা তারও বেশি বা কম স্লট বা খাঁজ বা ছিদ্র থাকে। এই স্লট গুলাে সাধারনত উপরে এবং নিচে সারিবদ্ধ ভাবে বৃত্তাকারে থাকে। দুটি সারির একটিতে স্টার্টিং এবং অন্যটিতে রানিং কয়েলের ওয়্যান্ডিং করা হয়। ফ্যান রিওয়্যান্ডিং করার জন্য পুরাতন কয়েলটি কেটে বাদ দেওয়ার সময় স্টার্টিং এবং রানিং কয়েলের প্যাচ সংখ্যা গুনে রাখতে হবে এবং তারের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল পরিমাপ করতে হবে আর সেই অনুযায়ী কয়েল রিওয়্যান্ডিং করতে হবে।
কয়েল এবং ওয়াইন্ডিং এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ কয়েলঃ সিরিজের কয়েকটি বাঁক (টার্ন) সংযুক্ত করে একটি কয়েল (কুণ্ডলী) তৈরি হয়।
ওয়াইন্ডিংঃ সিরিজে বেশ কয়েকটি কয়েল সংযুক্ত করে একটি ওয়াইন্ডিং গঠিত হয়।