স্টার্টার মটর কি? স্টার্টার মটর কিভাবে কাজ করে

স্টার্টার মটরঃ

জেনারেটর বা গাড়িকে যখন স্টার্ট করা হয় সেই স্টার্ট বা ক্রাংকি  করানোর জন্য ব্যবহার করা হয় স্টার্টিং সিস্টেম (Starting System)। অর্থাৎ ইঞ্জিন কে ঘোরানোর জন্য একটি মোটর ব্যবহার করা হয় সেই মোটর কে বলা হয় স্টার্টিং মোটর। সেই মোটর এর সাথে একটি পিনিয়ন থাকে যা ফ্লাইহুইলের সাথে কানেক্ট করা থাকে।


স্টার্টার মটর যেভাবে কাজ করেঃ

স্টেপ-১ঃ Cranking সুইচ দিয়ে যখন আপনি আপনার ইন্জিনিকে চালু করবেন তখন এটি ব্যাটারিতে একটি সংকেত প্রেরণ করে। যখন ইন্জিনের ব্যাটারিগুলো এই সংকেতটি পায় তখন এটির ম্যাগনেটিক কন্টাক সুইচ ট্রিগারটি পরিচালনা করবে যা ব্যাটারি থেকে স্টার্টার সোলেনয়েডে শক্তি স্থানান্তরের সুবিধা দেবে।

স্টেপ 2ঃ স্টার্টার সোলেনয়েড স্টার্টার মোটরের উপরে স্থাপিত, স্টার্টার সোলোনিয়েড টি ব্যাটারিতে পাঠানো একটি ছোট বৈদ্যুতিক সংকেত পাবে। এরপরে সলিনয়েডের মধ্যে ভারী সংযোগগুলির একটি জোড়া বন্ধ করে দেয় যা স্টার্টার মোটরের মধ্যে একটি বৃহৎ বৈদ্যুতিক কন্টাক করবে। সমস্ত স্টার্টার মোটর কাজ একটি স্টার্টার solenoid উপর নির্ভর করে।


স্টেপ 3ঃ স্টার্টার মোটর সলিনয়েড স্টার্টার মোটর থেকে বৃহত্তর বৈদ্যুতিক সংকেত পাঠিয়েছে, স্টার্টার মোটর মধ্যে অবস্থিত ইলেক্ট্রোম্যাগনেট চালু হবে। এটি একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে যা পিনিয়ন গিয়ারটি পরিচালনা করবে।

স্টেপ 4ঃ পিনিয়ন গিয়ার যখন ইলেক্ট্রোম্যাগনেট চালু হয় তখন পিনিয়ন টি ঘুরতে থাকে। একটি শক্তি সম্পুন্ন তড়িৎপ্রবাহ দ্বারা চম্বুক শক্তি প্রস্তুত হইয়া প্লাঞ্জারকে স্প্রিংয়ের বিপরিতে নিজের দিকে টেনে নেয় সলিনয়েড।ইহার ফলে ইহার দুটি টার্মিনালের সহিত কন্টাক্ট ডিক্সের যোগাযোগ স্থাপন হয়। স্টাটিং মটরের কাজ শুরু হয়।বেশি মাত্রায় বিদ্যুৎ আর্মেচার ও ফিল্ড কয়েলে প্রবাহিত হওয়ায় বেশি ম্যাগনেটিক ফোর্স আর্মেচার কয়েলে আসে। তখন স্টাটর মটরের রোটর অধিক ঘুর্নয়ন শক্তি উৎপন্ন করে।


স্টেপ 5ঃ ফ্লাইভিয়েল ইঞ্জিন শুরু হওয়ার চূড়ান্ত ধাপে ফ্লাইহুইল অন্তর্ভুক্ত। স্টাটার ড্রাইভ পরিচালনার জন্য স্লাইডিং ফ্রক ব্যবহৃত হয়। যা সলিনাইড হইতে আর্মেচার শ্যাফটে সংযোগ দেয়া থাকে। সলিনাইডে কন্ট্রাক্ট পাওয়া মাত্রই স্লাইডিং ফ্রক বিপরিত থেকে স্লিপ স্প্রিংয়ের মাধ্যেমে স্টাটর ড্রাইভ গিয়ারকে প্রেসার দেয় বা ধাক্কা দেয়। তখন ড্রাইভ গিয়ার সামনের দিকে অগ্রসর হয়।স্টাটর ড্রাইভ গিয়ার ফ্লাই হুইলের সাথে যুক্ত হয়। ফ্লাই হুইলকে ঘুর্নয়ন করিয়া ইঞ্জিনকে চালু করে। ইঞ্জিন রানিং টাইম সেটিং করা থাকে 30 সেকেন্ড বা 45 সেকেন্ড। ফুয়েল সিলিন্ডারে প্রবেশ করলে পাওয়ার স্টোক সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে ড্রাইভ পিনিয়ন টি ফ্লাইহুইল কে ছেড়ে দেয়। এজন্য রিলে ব্যবহার হয় যেমন পাইলট রিলে, গ্রাউন্ড/নেগেটিভ রিলে এই পুরো সিস্টেম কে কাজে করাই ECM, PLC,Speed controller, EMCP sensor communication এর মাধ্যমে। 

স্টার্টার মটর
চিত্রঃ স্টার্টার মটর


Note: Start circuit/start switch➡magnetic stater contact switch➡Pilot Relay➡High current Ground/Negative Relay➡Battery➡Starting motor. 24 VDC এবং 150_350 Ah কারেন্ট দরকার হয়। এজন্যই আমরা চারটা ব্যাটারিকে প্যারালাল ও সিরিজে কানেকশন করি। 


সকল বিষয়ে আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন- Join now

Post a Comment

Previous Post Next Post