ABC লাইসেন্স (A) এর জন্য ভাইভা প্রস্তুতি পর্ব-০২

ABC লাইসেন্স (A) এর জন্য ভাইভা বোর্ডের কমন প্রশ্নোত্তর পর্ব-০২

প্ৰশ্নঃ-৫১ কোন ডিভাইস কে আদর্শ ডিভাইস বলা হয়?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমার কে আদর্শ ডিভাইস বলা হয়।

প্ৰশ্নঃ-৫২ ট্রান্সফরমারের HT বুশিং এর পরিবর্তে লাইটিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করা যাবে?

উত্তরঃ
১ম শর্তঃ
স্বাভাবিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে না কারণ স্বাভাবিক ভোল্টেজে এর ভিতরে কন্টিনিউটি থাকে না, ফলে এর এক পাশে লাইন দিলে অন্য পাশে লাইন পাওয়া যাবে না।
২য় শর্তঃ
এর ভিতর যে গ্যাপ থাকে তা ফিলাপ করে দিলে অর্থাৎ কন্টিনিউটি করে দিলে বুশিং হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।


প্ৰশ্নঃ-৫৩ কি কি প্রধান উপাদান সহযোগে ট্রান্সফরমার গঠিত হয়?

উত্তরঃ নিম্নোক্ত প্রধান উপাদান সহযোগে ট্রান্সফরমার
গঠিত হয়ঃ
ম্যাগনেটিক সার্কিট, ইলেকট্রিক, সার্কিট, ট্রান্সফরমার ট্যাংক, প্রয়োজনীয় উপাদান।


প্ৰশ্নঃ-৫৪ কোর গঠন হিসেবে কত প্রকার?

উত্তরঃ কোর গঠন হিসেবে তিন প্রকার।
১। কোর টাইপ
২। সেল টাইপ
৩। স্পাইরাল কোর টাইপ


প্রশ্নঃ-৫৫ কোন ট্রান্সফরমারে একটি মাত্র কয়েল থাকে?

উত্তরঃ অটো ট্রান্সফরমারে একটি মাত্র কয়েল থাকে।

প্রশ্নঃ-৫৬ ট্রান্সফরমার কোন ধরনের ডিভাইস?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমার একটি ইলেকট্রিক স্ট্যাটিক
ডিভাইস।


প্রশ্নঃ-৫৭ ট্রান্সফরমারের কোর লেমিনেটেড করা হয় কেন?

উত্তরঃ এডি কারেন্ট লস কমানোর জন্য ট্রান্সফরমারের কোর লেমিনেটেড করা হয়।


প্রশ্নঃ-৫৮ ট্রান্সফরমারের কত প্রকার লস হয় এবং কি কি?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের লস সমূহ নিচে দেওয়া হল।
যথাঃ
১। কোর লস
২। কপার লস
৩। এডি কারেন্ট লস
৪। হিস্টেরেসিস লস
৫। প্রাইমারি ওয়্যাইন্ডিং এ কপার লস।
৬। সেকেন্ডারি ওয়্যাইন্ডিং এ কপার লস
ইত্যাদি।


প্রশ্নঃ-৫৯ ট্রান্সফরমারের অয়েল এর কাজ কি?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের অয়েল এর কাজ হল- ট্রান্সফর্মার কে শীতলীকরণ এর জন্য এবং ইনসুলেটর
হিসেবেও কাজ করে।


প্ৰশ্নঃ-৬০ ট্রান্সফরমার ওয়েল এর বাণিজ্যিক নাম কি?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমার ওয়েল এর বাণিজ্যিক নাম হল-
পাইরানল এবং সিলিকন।

প্রশ্নঃ-৬১ ব্রিদার কি?

উত্তরঃ ইহা ট্রান্সফরমারের কনজারভেটরের সহিত লাগানো থাকে, যার মাধ্যমে বাহির হতে ঠান্ডা বাতাস ফিল্টার হয়ে ট্যাংকে ঢুকে এবং গরম বাতাস ট্যাংক হতে বাহির হয়ে যায়।


প্ৰশ্নঃ-৬২ সিলিকা জেল কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ বাতাস থেকে জলীয়বাষ্প দূরীকরণের জন্য
সিলিকা জেল ব্যবহার করা হয়।

প্ৰশ্নঃ-৬৩ বাজারে যে ধরনের ট্রান্সফর্মার গুলো পাওয়া যায় সেগুলোর নাম বলুন।

উত্তরঃ বাজারে মূলত যে ধরনের ট্রান্সফর্মার গুলো পাওয়া যায় সেগুলোর নাম নিচে দেওয়া হল।
যথাঃ
1. 100 KVA ট্রান্সফর্মার
2. 200 KVA ট্রান্সফর্মার
3. 250 KVA ট্রান্সফর্মার
4. 315 KVA ট্রান্সফর্মার
5. 400 KVA ট্রান্সফর্মার
6. 500 KVA ট্রান্সফর্মার
7. 630 KVA ট্রান্সফর্মার
8. 750 KVA ট্রান্সফর্মার
9. 800 KVA ট্রান্সফর্মার
10. 1000 KVA ট্রান্সফর্মার
11. 1250 KVA ট্রান্সফর্মার


প্রশ্নঃ-৬৪ বুখরেজ রিলে, কনজারভেটর, ব্রীদার কি?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন ত্রুটির প্রটেকশন ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য ট্রান্সফরমার ট্যাংক ও কনজারভেটর এর মাঝে পাইপে যে রিলে বসানো থাকে সেটাই বুখলজ রিলে। ত্রুটিজনিত অতিরিক্ত কারেন্ট হতে সৃষ্ট উত্তাপে ট্রান্সফরমার ট্যাংকে যে গ্যাসের সৃষ্টি হয়, তার চাপেই এই রিলে কাজ করে থাকে। ট্রান্সফরমারের তেল গরম হলে এর আয়তন বেড়ে যায় এবং ঠান্ডা হলে আয়তন কমে যায়। বাড়া কমার সুবিধার জন্য ট্যাংকের উপর একটি ড্রাম বসানো থাকে, একে কনজারভেটর বলে। আয়তন বাড়লে তেল পাইপের মাধ্যমে কনজারভেটরে চলে যায়। ট্রান্সফরমারের ট্যাংকে জলীয়বাস্পমুক্ত অর্থাৎ শুষ্ক বাতাস প্রবেশের জন্য ট্রান্সফরমারে যে প্রকোষ্ঠ ব্যবহার করা হয় তাকে ব্রীদার বলে।

প্ৰশ্নঃ-৬৫ বুখলজ রিলে কোথায় ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন ত্রুটির প্রটেকশন ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য ট্রান্সফরমার ট্যাংক ও কনজারভেটর এর মাঝে পাইপে যে রিলে বসানো থাকে সেটাই বুখলজ রিলে। ট্রান্সফরমারের অভ্যন্তরীন ত্রুটি সনাক্ত করার জন্য বুখলজ রিলে ব্যবহার করা হয়। এটি মূলত ট্রান্সফরমারের মেইন ট্যাংক এবং কনজারভেটর
ট্যাংকের মাঝামাঝি অবস্থানে স্থাপন করা হয়।


প্রশ্নঃ-৬৬ স্লিপ কি?

উত্তরঃ সিনক্রোনাস স্পিড এবং রোটর স্পিড এর পার্থক্য কে স্লিপ বলে।


প্ৰশ্নঃ-৬৭ জেনারেটর কি? জেনারেটর কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করা হয় তাকে জেনারেটর বলে।
জেনারেটর সাধারনত দুই প্রকার। যথাঃ
১। এসি জেনারেটর
২৷ ডিসি জেনারেটর


প্রশ্নঃ-৬৮ ডায়নামো কি?

উত্তরঃ ডিসি জেনারেটর কে ডায়নামো বলে।


প্রশ্নঃ-৬৯ জেনারেটর এর কাজ কি?

উত্তরঃ জেনারেটর এর কাজ হল যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা।


প্রশ্নঃ-৭০ এসি জেনারেটর কাকে বলে?

উত্তরঃ যে যন্ত্র বা মেশিনের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে এসি বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তাকে এসি জেনারেটর বলা হয়।

প্রশ্নঃ-৭১ জেনারেটর এর প্রধান অংশ কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ জেনারেটর এর প্রধান অংশ হল ২ টি। যথাঃ
১৷ ইঞ্জিন এবং
২। অল্টারনেটর


প্ৰশ্নঃ-৭২ ইঞ্জিনের কাজ কি?

উত্তরঃ ইঞ্জিনের কাজ হল তাপ শক্তিকে গতি শক্তিতে
রূপান্তরিত করা


প্রশ্নঃ-৭৩ ইঞ্জিন এর বিভিন্ন অংশের নাম বলেন?

উত্তরঃ ইঞ্জিন এর বিভিন্ন অংশের নাম নিচে দেওয়া
হল। যথাঃ
১। সিলিন্ডার হেড
২। সিলিন্ডার ব্লক
৩। ক্র্যাংককেইস
৪। ইনলেট ভাল্ব
৫। এগজষ্ট ভালভ
৬। রকার আর্ম
৭। পুশ রড
৮। ইঞ্জেক্টর
৯। ক্যাম শ্যাফট
১০। ক্র্যাংক শ্যাফট
১১। পিস্টন
১২। পিস্টন রিং
১৩। লাইনার
১৪। কানেক্টিং রড
১৫। ফ্লাই হুইল ইত্যাদি।


প্রশ্নঃ-৭৪ অল্টারনেটর বা ডায়নামোর বিভিন্ন অংশের নাম লিখুন।

উত্তরঃ অল্টারনেটর বা ডায়নামোর বিভিন্ন অংশের নাম
নিচে দেওয়া হল। যথাঃ
১। আর্মেচার
২। কয়েল
৩। রোটর
৪। এক্সাইটার
৫। কমিউটেটর
৬। ডায়োড
৭। AVR
৮। স্লিপ রিং
৯। ফ্লাই হুইল
১০। বিয়ারিং
১১। ক্যাবল টার্মিনাল ইত্যাদি


প্রশ্নঃ-৭৫ ব্যাটারির কাজ কি?

উত্তরঃ ব্যাটারি কেমিক্যাল এনার্জি কে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জি তে রূপান্তরিত করে। কেমিক্যাল এনার্জি মানে চার্জের উপস্থিতি।

4

প্রশ্নঃ-৭৬ জেনারেটর কি নীতি অনুসরন করে চলে?

উত্তরঃ জেনারেটর ফ্লেমিং এর ডান হস্ত নিয়ম অনুসরণ করে চলে।


প্রশ্নঃ-৭৭ ভোল্টেজ রেগুলেশন বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের নো-লোড হতে ফুল লোড ভোল্টেজের পার্থক্যকে ফুল লোড ভোল্টেজ দ্বারা ভাগ করে একে শতকরা হিসাবে প্রকাশ করাকেই ভোল্টেজ রেগুলেশন বলে। ভোল্টেজ রেগুলেশন, %VR=V - V /V
100 ভোল্টেজ রেগুলেশন এর মান যত কম হয় ততই ভালো।


প্রশ্নঃ-৭৮ বাংলাদেশে বর্তমানে কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়?

উত্তরঃ বাংলাদেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,৫১৪ মেগাওয়াট। (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ) ২৫,২৮৪ মেগাওয়াট।


প্রশ্নঃ-৭৯ প্রাইমারি ট্রান্সমিশন কি?

উত্তরঃ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রেরণ প্রান্ত থেকে রিসিভিং প্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ অতি উচ্চ ভোল্টেজ লাইনকে প্রাইমারি ট্রান্সমিশন (লাইন) বলা হয়। প্রাইমারি ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ 110KV, 132KV, 230KV, 400KV পর্যন্ত বা আরও বেশি হতে পারে।


প্রশ্নঃ-৮০ সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন কি?

উত্তরঃ রিসিভিং স্টেশন থেকে সাব স্টেশন পর্যন্ত দীর্ঘ উচ্চ ভোল্টেজ লাইনকে সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন (লাইন) বলা হয়। সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ 33KV, 66KV হতে পারে।

প্ৰশ্নঃ–৮১ গ্রহনযোগ্য ট্রান্সমিশন লাইন এর ভোল্টেজ লস কত?

উত্তরঃ গ্রহনযোগ্য ট্রান্সমিশন লাইন এর ভোল্টেজ লস
৬ - ১১% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

প্ৰশ্নঃ-৮২ বাংলাদেশের জেনারেশন ভোল্টেজ কত?
উত্তরঃ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ জেনারেশন ভোল্ট হলো 6,600 Volt.


প্ৰশ্নঃ-৮৩ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ কত?

উত্তরঃ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ ৪০০ কেভি যেটি বিবিয়ানা কালিয়াকৈর অবস্থিত।


প্রশ্নঃ-৮৪ বাংলাদেশে প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন ভোল্টেজ কত?

উত্তরঃ বাংলাদেশে প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন ভোল্টেজ হল- 11KV, 6.6KV, 3.3KV ইত্যাদি।


প্রশ্নঃ-৮৫ ডিস্ট্রিবিউশন লাইন এর ভোল্টেজ লস কত পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য?

উত্তরঃ ডিস্ট্রিবিউশন ভোল্টেজ লস, লাইন ভোল্টেজ এর 1% পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য।

প্রশ্নঃ-৮৬ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের জন্য কপার অপেক্ষা C.S.R তার ব্যবহার করা হয় কেন?

উত্তরঃ সমান রোধ সম্পন্ন কপারের তুলনায় C.S.R কন্ডাকটরের ব্যাস বেশি কিন্তু ওজনে হালকা। এছাড়া সর্বোচ্চ টান সহন ক্ষমতা কপারের তুলনায় বেশি। এ জন্য ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের জন্য কপার অপেক্ষা C.S.R তার ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্নঃ-৮৭ ট্রান্সমিশন লাইন আর্থ করা হয় কেন?

উত্তরঃ বজ্রপাতের ফলে অথবা অন্য কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ইনসুলেশন ব্রেকডাউন হতে পার। এই সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে লাইনকে রক্ষা করার জন্য ওভার হেড লাইনের শীর্ষে একটি অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভোল্টেজ মাটিতে ডিসচার্জ হতে পারে।


প্রশ্নঃ-৮৮ ওভার হেড লাইনের জন্য সাধারণত কি কি কন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ওভার হেড লাইনের জন্য সাধারণত নিম্নোক্ত কন্ডাক্টর গুলো ব্যবহার করা হয়। যথাঃ
(১) স্টিল কোরড অ্যালুমিনিয়াম
(২) কপার
(৩) অ্যালুমিনিয়াম ও
(৪) গ্যালভানাইজড স্টিল কন্ডাক্টর
এছাড়া কতোগুলি বিশেষ ক্ষেত্রে ফসফার ব্রোঞ্জ, কপার ক্ল্যাড, ক্যাডমিয়াম কপার ইত্যাদি তার ব্যবহার করা হয়।


প্রশ্নঃ-৮৯ ওভার হেড লাইনে কি কি ইনসুলেটর ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ওভার হেড লাইনে নিম্নোক্ত ইনসুলেটর ব্যবহার করা হয়। যথাঃ
(ক) শ্যাকলইনসুলেটর (Shackle Insulator)
(খ) পিন ইনসুলেটর
(গ) সাসপেনশন ইনসুলেটর
(ঘ) স্ট্রেইন ইনসুলেটর
(ঙ) পোস্ট ইনসুলেটর
(চ) গাই ইনসুলেটর
(ছ) ডিস্ক ইনসুলেটর

প্রশ্নঃ-৯০ ওভারহেড লাইনে পরিবাহীর সাইজ কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তরঃ ওভারহেড লাইনে পরিবাহীর সাইজ নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যথাঃ
১। লাইনের ভোল্টেজ
২। কারেন্ট পরিবহন ক্ষমতা
৩। পরিবাহীর টান সহন ক্ষমতা
৪। লাইনের দৈর্ঘ্য
৫। লোডের পাওয়ার ফ্যাক্টর
৬। পরিবাহীর পরস্পর ব্যবধান ও স্প্যান এর উপর নির্ভর করে।

প্রশ্নঃ-৯১ ওভারহেড লাইনে ড্যাম্পার কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ওভারহেড লাইনে যাতে কম্পনের সৃষ্টি হতে না পারে সেজন্য ঝুলন্ত লাইনের ইনসুলেটরে ভাইব্রেশন ড্যাম্পার বসানো হয়। লাইনের কন্ডাক্টরকে ছিড়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা এবং তারের কম্পনের মান কমানোর জন্য যে ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে ড্যাম্পার বলে।


প্ৰশ্নঃ-৯২ ওভার হেড লাইনের উপাদান গুলো কি কি?

উত্তরঃ ওভার হেড লাইনের উপাদান গুলো প্রধানত বার টি, যথাঃ
(১) লাইন সাপোর্ট
(২) ক্রস-আরম ও ক্লাম্প
(৩) ইনসুলেটর
(8) কন্ডাক্টর
(৫) গাই ও স্টে
(৬) লাইটনিং অ্যারেস্টার
(৭) ফিউজ ও আইসুলেটিং সুইস
(৮) অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার
(৯) গার্ড ওয়্যার
(১০) পাখি রক্ষক
(১১) জাম্পার
(১২) ভাইব্রেশন ড্যাম্পার।

প্রশ্নঃ-৯৩ ওভারহেড লাইনে কি কি কন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ওভারহেড লাইনে যেসব কন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয়ঃ
১। স্টিল কোরড অ্যালুমিনিয়াম
২। কপার
৩। অ্যালুমিনিয়াম
৪। গ্যালভানাইজড স্টিল কন্ডাকটর এছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে ফস্কার ব্রোঞ্জ, কপার ক্ল্যাড ক্যাডমিয়াম কপার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্নঃ-৯৪ ওভারহেড লাইনে কি কি গুনাবলী থাকা দরকার?

উত্তরঃ ওভারহেড লাইনে নিম্নোক্ত গুণাবলী থাকা দরকার। যথাঃ
(১) উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহীতা অর্থাৎ কম আপেক্ষিক রোধ।
(২) উচ্চ টেনসাইল স্ট্রেংথ।
(৩) স্বল্প ব্যয়ী হতে হবে।
(৪) তার শক্ত ও নমনীয় হতে হবে।
(৫) উচ্চ গলনাংক সম্পন্ন হতে হবে।
(৬) তার টেকসই ও স্ক্রাব বিক্রয়যোগ্য হতে হবে।


প্রশ্নঃ-৯৫ পোল বা টাওয়ারের উচ্চতা কত হয়ে থাকে?

উত্তরঃ পোলের উচ্চতা, বিস্তার ও লাইনের ভোল্টেজ এর সাপেক্ষে 30 ফুট থেকে 100 ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। টাওয়ারের উচ্চতা, বিস্তার ও লাইনের ভোল্টেজ এর সাপেক্ষে সাধারণত 60 ফুট থেকে 115 ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে নদী পারাপারের ক্ষেত্রে 197 ফুট থেকে 328 ফুট এর মধ্যে হয়ে থাকে।


প্রশ্নঃ-৯৬ ইনসুলেটর কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ ইনসুলেটর ৬ প্রকার। যথাঃ
১। পিন ইনসুলেটর
২। সাসপেনশন ইনসুলেটর
৩। স্ট্রেইন ইনসুলেটর
৪। পোস্ট ইনসুলেটর
৫। শ্যাকল ইনসুলেটর
৬। গাই ইনসুলেটর

প্ৰশ্নঃ-৯৭ ফ্ল্যাশ ওভার ভোল্টেজ কাকে বলে?

উত্তরঃ বজ্রপাতের মাধ্যমে যে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় তাকে ফ্ল্যাশ ওভার ভোল্টেজ বলে।


প্রশ্নঃ-৯৮ গ্রুপ লোড টেস্ট করা হয় কেন?

উত্তরঃ ইনসুলেটর এর টান সহন ক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য গ্রুপ লোড টেস্ট করা হয়।

প্রশ্নঃ-৯৯ পিন ইনসুলেটর এর সীমাবদ্ধতা কি?

উত্তরঃ পিন ইনসুলেটর 33 Kv এর চেয়ে বেশি ভোল্টেজে ব্যবহৃত হয় না।


প্রশ্নঃ-১০০ শ্যাকল ইনসুলেটর কোথায় ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ 220 থেকে 400 ভোল্টেজ লাইনে শ্যাকল ইনসুলেটর ব্যবহার করা হয়।



সকল বিষয়ে আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন- Join Now


ABC লাইসেন্স (A) এর জন্য ভাইভা প্রস্তুতি পর্ব-০১  এখানে  দেখুন


ABC লাইসেন্স ভাইভা প্রস্তুতি পর্ব-০২
Image: ABC লাইসেন্স ভাইভা প্রস্তুতি

ABC লাইসেন্স (A) এর জন্য ভাইভা প্রস্তুতি পর্ব-০১ এখানে দেখুন

Post a Comment

Previous Post Next Post