ABC লাইসেন্স (A) এর জন্য ভাইভা বোর্ডের কমন প্রশ্নোত্তর পর্ব-০৩
প্রশ্নঃ–১০১ এরিয়াল ক্যাবল কি?
উত্তরঃ হালকা ইনসুলেশন এর আবরণযুক্ত তার কে এরিয়াল ক্যাবল বলে। এটি সাধারণত সার্ভিস কানেকশন এবং পল্লী বিদ্যুতে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ–১০২ পাওয়ার ক্যাপাসিটর এর কাজ কি?
উত্তরঃ পাওয়ার ক্যাপাসিটর এর কাজ হল- পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান উন্নত করা।
প্রশ্নঃ-১০৩ টিউব লাইটে চোক কয়েল ও স্টার্টার এর কাজ কি?
উত্তরঃ চোক কয়েল কাজঃ
সংক্ষেপে বলতে গেলে- টিউব লাইট জ্বালাতে চোক কয়েল ব্যবহার করা হয়। চোক কয়েলের মাধ্যমে কারেন্ট নিয়ন্ত্রন করে ভোল্টেজ ঠিক রাখা হয়৷ এটিকে লাইটের সাথে সিরিজে সংযুক্ত করা হয় ৷ চোক কয়েল সাপ্লাই লাইনের দিকে টিউবের সঙ্গে সিরিজে সংযুক্ত থাকে। সুইচ অন করার পর বাতির স্বাভাবিক আলো দিতে প্রায় 2 থেকে 3 সেকেন্ড সময় লাগে। স্টার্টিং এর সময় টিউব লাইটে প্রায় 700 থেকে ৪০০ ভোল্টেজ প্রয়োজন হয়৷ আর এই ভোল্টেজ স্টার্টার শর্ট সার্কিটের চোক কয়েল সাপ্লাই লাইনের দিকে টিউবের সঙ্গে সিরিজে সংযুক্ত থাকে। সুইচ অন করার পর বাতির স্বাভাবিক আলো দিতে প্রায় 2 থেকে 3 সেকেন্ড সময় লাগে। স্টার্টিং এর সময় টিউব লাইটে প্রায় 700 থেকে ৪০০ ভোল্টেজ প্রয়োজন হয়। আর এই ভোল্টেজ স্টার্টার শর্ট সার্কিটের
মাধ্যমে উৎপন্ন করে। তখন চোক কয়েলে কোন ব্যাক ই এম এফ থাকে না বলে কোন বাধার সৃষ্টি করে না কিন্তু
টিউব লাইট জ্বলতে শুরু করলে চোক কয়েলে ব্যাক ই এম এফ উৎপন্ন হয় যাহা সাপ্লাই ভোল্টেজ কে বাধা দেয় অর্থাৎ চোক কয়েলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভোল্টেজ ড্রপ হয়। টিউব লাইট জ্বলা কালে মাত্র 110 ভোল্ট প্রয়োজন হয়। আর বাকী (230-110) = 120 ভোল্ট চোক কয়েলে ড্রপ হয়। তার ফলে টিউবলাইট সুষ্ঠুভাবে জ্বলতে থাকে।
স্টার্টার এর কাজঃ
ইহাকে টিউব লাইটের দুই প্রান্তের সাথে প্যারালালে সংযোগ করা হয়। ইহার কাজ হলো শুরু বা স্টার্ট করে দেওয়া। টিউবের গ্যাস যতক্ষণ পর্যন্ত গরম না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ইহার ভিতর কোন কারেন্ট প্রবাহিত হতে পারে না। স্টার্টার ক্ষণিকের জন্য টিউবের দুই প্রান্তের মধ্যে শর্ট-সার্কিট ঘটায় এবং ইহাতে 700 থেকে 800
ভোল্ট উৎপন্ন হয়। ফলে ফিলামেন্ট দ্বারা অধিকমাত্রায় কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং ফিলামেন্ট সংলগ্ন গ্যাস গরম
হয়ে আয়নাইজড হয় এবং গ্যাসের ভিতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে। স্টার্টার ক্ষণিকের জন্য শর্ট সার্কিট ঘটিয়ে আবার লাইন কে পৃথক করে দেয়। স্টার্টারের দুই প্রান্তের সরবরাহ ভোল্টেজের কম ভোল্টেজ থাকলে ইহা কাজ করে না।
প্রশ্নঃ-১০৪ লাইটিং অ্যারেস্টার কি? ইহা কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ লাইটিং অ্যারেস্টার বা সারজ ডাইভারটার এক ধরনের ইলেকট্রিক্যাল প্রটেকটিভ ডিভাইস, যা পাওয়ার সিস্টেমে হাই ভোল্টেজকে বা সারজ ভোল্টেজ কে সরাসরি মাটিতে প্রেরণ করে।
প্রশ্নঃ-১০৫ লাইটিং অ্যারেস্টার কেন এবং কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ লাইটিং অ্যারেস্টার বা সারজ ডাইভারটার হল এক ধরনের ইলেকট্রিক্যাল প্রটেকটিভ ডিভাইস, যেটি পাওয়ার সিস্টেমে হাই ভোল্টেজকে বা সারজ ভোল্টেজকে সরাসরি মাটিতে প্রেরন করে। লাইটিং শব্দের অর্থ হচ্ছে বজ্রপাত এবং অ্যারেস্টার শব্দের অর্থ গ্রেফতার করা। অর্থাৎ যদি কখনো ট্রান্সমিশন লাইনের উপর বজ্রপাত হয় তখন অনেক বেশি ভোল্টেজ লাইনের মধ্যে চলে আসার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে অনেক ক্ষয় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এ কারনে লাইটিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করে অতিরিক্ত ভোল্টেজকে মাটিতে নিয়ে ডিসচার্জ করা হয়। Sub-Station Generating Station বাসবারে লাইটিং অ্যারেস্টার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-১০৬ বাসবার কি?
উত্তরঃ বাসবার হচ্ছে এক ধরনের তামা বা অ্যালুমিনিয়ামের পরিবাহী পাত বা রড যা এক বা একাদিক সার্কিট হতে বৈদ্যুতিক শক্তি সংগ্রহ ও বিতরন করে থাকে।
প্রশ্নঃ-১০৭ কিসের উপর ভিত্তি করে বাসবার সিলেকশন করা হয়?
উত্তরঃ লাইনের কারেন্ট এর উপর ভিত্তি করে বাসবার সিলেকশন করা হয়
প্রশ্নঃ-১০৮ কেন বাসবার সিলেকশন করার ক্ষেত্রে কপার নেওয়া হয়?
উত্তরঃ বাসবার সিলেকশন করার ক্ষেত্রে কপার নেওয়া হয় কারন হল- কপারের ইফিসিয়েন্সি অনেক বেশি এবং লস কম হয়।
প্রশ্নঃ- ০৯ আইসোলেটর কি?
উত্তরঃ আইসোলেটর এক ধরনের সুইচ, যা অফলাইনে অপারেটিং করা হয়। বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিশেষ করে ট্রান্সফরমারকে নো-লোড অবস্থায় বা সামান্য লোড অবস্থায় লাইন হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আইসোলেটরব্য বহার করা হয়। আইসোলেটর হচ্ছে এমন একটি সুইচ, যাকেযা ন্ত্রিক বিনা লোডে অন বা অফ করা যায়। এতে আর্ক নির্বাপণের বিশেষ কোন ব্যবস্থা থাকে না।
প্রশ্নঃ-১১০ আইসোলেটর কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ মেইন লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত যন্ত্রপাতি মেরামতের
উদ্দেশ্যে যন্ত্রপাতিকে মেইন লাইন হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য এবং ট্রন্সমিশন লাইনের চার্জিং কারেন্টকে অফ করার জন্য আইসোলেটর ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-১১১)আইসোলেটর কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ আইসোলেটরের প্রকারভেদ গুলো নিচে দেওয়া
হল। যথাঃ
১। ভার্টিক্যাল ব্রেক টাইপ।
২। হরিজন্টাল ব্রেক টাইপ (সেন্টার ব্রেক অথবা ডাবল ব্রেক)।
৩। ভার্টিক্যাল প্যান্টোগ্রাফ টাইপ।
প্রশ্নঃ-১১২ কোন সার্কিটে আইসোলেটর ওপেন করতে হলে কী করতে হয়?
উত্তরঃ কোন সার্কিটে আইসোলেটর ওপেন করতে হলে নিম্নোক্ত কাজগুলি করতে হয়। যথাঃ
১। প্রথমে সার্কিট ব্রেকার ওপেন করতে হবে।
২। এরপর আইসোলেটর ওপেন করতে হবে।
৩। আর্থিং সুইচ বন্ধ করতে হবে।
প্রশ্নঃ-১১৩ সার্কিটে আইসোলেটর বন্ধ করার সময় কি করতে হবে?
উত্তরঃ কোন সার্কিটে আইসোলেটর বন্ধ করতে হলে নিম্নোক্ত কাজগুলি করতে হয়। যথাঃ
১। প্রথমে আর্থিং সুইচ ওপেন করতে হবে।
২। এরপর আইসোলেটর বন্ধ করতে হবে।
৩। সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে হবে।
প্রশ্নঃ-১১৪ সার্কিট ব্রেকারের উভয় পার্শ্বে আইসোলেটর কেন লাগানো থাকে?
উত্তরঃ যখনই কোন লো-ভোল্টেজ লাইনে অথবা রেসিডেনসিয়াল কার্যে মেরামত বা মেইনটেন্যান্স করা হয়, তখনই কোন ইলেকট্রিশিয়ান মেইন সুইচ অফ করে দিয়ে সুইচ এর ফিউজ ব্রিজ খুলে নিজের পকেটে রেখে কাজ কর্মে নিশ্চয়তা বোধ করে এবং এটাই নিয়ম। এতে অধিকতর নিরাপত্তা বজায় থাকে। কারন, ভূলবশত কেউ মেইন সুইচ অন করে দিলে লাইনে কার্যরত অপারেটরের দুর্ঘটনা ঘটবে। ঠিক তেমনি হাই টেনশন লাইনের ফল্ট সরানোর সময় বা মেইনটেন্যান্সের সময় সার্কিট ব্রেকার অপারেট করানোর পরেও আইসোলেটর দ্বারা লাইনকে সম্পূর্নরূপে বিযুক্ত করে একজন ইঞ্জিনিয়ার বা টেকনিশিয়ান অধিকতর নিশ্চিত মনে কাজ করতে পারে। অনেক সময় ভুলবশত সার্কিট ব্রেকার অন হয়ে যেতে পারে। কারন, এটি প্রায়ই রিমোট
কন্ট্রোল টাইপ হয়ে থাকে। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে ব্যক্তিবিশেষ না গিয়ে আইসোলেটর অন বা অফ করতে পারে না। এ ছাড়া সার্কিট ব্রেকারকে মেইনটেন্যান্স বা মেরামত করার জন্য এর উভয় পার্শ্বে আইসোলেটর লাগানো থাকলে সহজে আইসোলেটর খুলে সার্কিট ব্রেকারকে মেরামতের
জন্য বাহিরে আনা যায়। কাজেই অপারেটর বা ইলেকট্রিশিয়ানদের অধিক নিশ্চয়তার মধ্যে কাজ করার জন্য সিস্টেমে সার্কিট ব্রেকার লাগানো সত্ত্বেও আইসোলেটর লাগানো হয়।
প্রশ্নঃ-১১৫ অটো-রিক্লোজার কি?
উত্তরঃ মডার্ন সাবস্টেশনে উচ্চভোল্টেজ, উচ্চ লোড কারেন্ট এ রেটিং করা, SCADA প্রযুক্তিতে পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফল্ট ডিটেক্ট করার জন্য যে সুইচগিয়ার প্রটেকশন থাকে তাকে অটোরিক্লোজার বলে।
এটার ভোল্টেজ রেটিং (1.2 - 38 kv)
লোড কারেন্ট রেটিং (1000 - 1200 Amps)
ফল্ট কারেন্ট রেটিং (1 - 16 KA)
এটা সার্কিট ব্রেকার থেকে বহুগুণে উত্তম। কারণ এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক উপায়ে অটোমেটিকভাবে সিস্টেম এর ফল্ট ( light Arresting, Surge Fault) ডিটেক্ট করা যায়। যেটা সার্কিট ব্রেকার এ সম্ভব নয়।
প্রশ্নঃ-১১৬ আর্থিং কি? আরথিং কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ অনাকাঙ্খিত বিদ্যুৎ থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও মানুষ কে রক্ষা করার জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির মেটাল বা বহিরাবরণ থেকে কারেন্টকে কোন পরিবাহী দ্বারা মাটিতে প্রেরণ করার ব্যবস্থা কে আর্থিং বলে।
আর্থিং কে অনেকেই গ্রাউন্ডিং বলে থাকেন। কোন কারণে লাইনে লিকেজ কারেন্ট হলে আর্থিং সেই লিকেজ কারেন্ট কে কোন প্রকার বিপদ না ঘটিয়ে তারের মাধ্যমে সহজে মাটিতে চলে যেতে সাহায্য করে। আর্থিং কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
যথাঃ
১। সিস্টেম আর্থিং এবং
২। ইকুইপমেন্ট আর্থিং
প্রশ্নঃ-১১৭ নিউট্রাল কি? নিউট্রাল কেন প্রয়োজন হয়?
উত্তরঃ নিউট্রালের মধ্যে শুধু কারেন্ট থাকে। নিউট্রাল যদি না থাকে তাহলে সার্কিট ক্লোজ হবে না। আর ক্লোজ না হলে কারেন্ট ও প্রবাহিত হবে না। কারেন্ট নিউট্রালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং তা সিস্টেম কে সচল রাখে। নিউট্রাল কারেন্টের জন্য অপেক্ষাকৃত ছোট পথ প্রদান করে থাকে।
প্রশ্নঃ-১১৮ আর্থিং এবং নিউট্রাল এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ আর্থিং সরাসরি মাটির সাথে যুক্ত থাকে আর নিউট্রাল লাইন ট্রান্সফরমারেই ফেরত যায়। নিউট্রাল কারেন্টের জন্য অপেক্ষাকৃত ছোট পথ (সার্কিট) প্রদান করে আর আর্থিং ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা প্রদান করে।নিউট্রাল সবসময় ঋণাত্মক তড়িৎগ্রস্ত থাকে আর আর্থিং বিপদজনক পরিস্থিতিতে শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে দ্রুত বিদ্যুৎ মাটিতে পৌছিয়ে দেয়। যার ফলে ফিউজ জ্বলে যায় এবং ব্যবহারকারী ও যন্ত্র রক্ষা পায়।
প্রশ্নঃ-১১৯ ফেজ, নিউট্রাল এবং আর্থিং তারের স্ট্যান্ডার্ড কালার কি?
উত্তরঃ ইলেকট্রিক্যালের যে কোন ধরনের কাজের সময়, আপনি আপনার ইচ্ছামত যে কোন রং এর কালারকে ফেজ বা নিউট্রাল বা আর্থ তার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু সকলের বোঝার সুবিধার্থে একটি নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। কারন, ইঞ্জিনিয়ার তো নিজের সুবিধার্থে কাজ করবে না। সবাই যেন বুঝতে পারে, সেটা মাথায় রেখেই কাজ করবে। আমরা সাধারনত কাজ করার সময় লাল এবং কালো তার ফেজ এবং নিউট্রাল তার হিসাবে ব্যবহার করে থাকি। ফেজ, নিউট্রাল ও আর্থ তারের স্টান্ডার্ড কালার বর্তমানে আন্তর্জাতিক নিয়মেঃ ফেজ বা লাইভ তার কে বাদামি রং, নিউট্রাল তারকে হালকা নীল রং, এবং আর্থ তারকে সবুজ বা হলুদ এর অন্তরিত স্ট্রিপ করা হয়।
প্রশ্নঃ-১২০ বাসাবাড়িতে আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া দরকার?
উত্তরঃ বাসাবাড়িতে আর্থিং রেজিস্ট্যান্স সর্বোচ্চ ৫ ওহম হওয়া দরকার।
প্রশ্নঃ-১২১ ইন্ডাস্ট্রিতে আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া দরকার?
উত্তরঃ সাব-স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য আর্থিং রেজিস্ট্যান্স সর্বোচ্চ ১ ওহম হওয়া দরকার।
প্রশ্নঃ-১২২ আর্থিং এ ব্যবহৃত মালামেল নাম লিখ।
উত্তরঃ আর্থিং এ ব্যবহৃত মালামাল নামগুলো নিচে দেওয়া হল। যথাঃ
১। আর্থ ইলেকট্রোড
২। আর্থিং লিড
৩। নিরবিচ্ছিন্ন আর্থিং এর তার আর্থ ইলেকট্রোড বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
যেমনঃ
১৷ রড আর্থ ইলেকট্রোড
২। পাইপ আর্থ ইলেকটোড
৩। স্ট্রিপ বা কন্ডাক্টর আর্থ ইলেকট্রোড (পাত)
৪। কয়েল আর্থ ইলেকট্রোড
৫। প্লেট আর্থ ইলেকট্রোড
৬। সিট আর্থ ইলেকট্রোড
প্রশ্নঃ-১২৩ ট্রান্সমিশন লাইন আর্থ করা হয় কেন?
উত্তরঃ বজ্রপাতের ফলে অথবা অন্য কোন অস্বাভাবিক
পরিস্থিতিতে ইনসুলেশন ব্রেকডাউন হতে পারে। এই সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে লাইনকে রক্ষা করার জন্য ওভার হেড লাইনের শীর্ষে একটি অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভোল্টেজ মাটিতে ডিসচার্জ হতে পারে।
প্রশ্নঃ-১২৪ কোন ধরনের পোলে টানা ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ টার্মিনাল পোলে এবং এঙ্গেল পোলের দুদিকে টানের সমতা রক্ষার জন্য টানা বা Stays ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-১২৫ ক্রস আর্ম এর সাইজ কত?
উত্তরঃ ক্রস আর্ম এর সাইজ গুলো নিচে দেওয়া হল।
যথাঃ
LT লাইনের জন্য 2 ফুট থেকে 2 ফুট 5 ইঞ্চি 2 টি পিন ইনসুলেটর।
11KV লাইনের জন্য 3 ফুট 3 ইঞ্চি থেকে 5 ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কোন কোন বিশেষ ক্ষেত্রে 7 ফুট থেকে 10 ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ-১২৬ লাইভ সাপোর্ট কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ লাইভ সাপোর্ট ৪ প্রকার। যথাঃ
১। কাঠের পোল
২। স্টিল পোল
৩। কংক্রিট পোল
৪। ল্যাটিস টাওয়ার
প্রশ্নঃ-১২৭ স্টিল পোল কত ভোল্টেজ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ স্টিল পোল ১১ থেকে ৩৩ কেভি পর্যন্ত হাই ভোল্টেজ লাইনে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-১২৮ কংক্রিটের পোল কোথায় ব্যবহৃত হয়?
উত্তরঃ কংক্রিটের পোল নিম্ন ও মাঝারি ভোল্টেজ ২২০ থেকে ১১ কেভি পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-১২৯ ল্যাটিস স্টিল টাওয়ার কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ টাওয়ার এর উচ্চতা ২০ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত বা তারও বেশি দীর্ঘ স্প্যানের জন্য ল্যাটিস স্টিল টাওয়ার ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-১৩০ জাম্পার কি?
উত্তরঃ ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে দুটি তারের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য যে ক্ষুদ্র তার ব্যবহার করা হয় তাকে জাম্পার বলে। এটি এক ধরনের পরিবাহী যার মাধ্যমে একটি পরিবাহী থেকে আরেকটি পরিবাহীর সংযোগ সাধন করা হয়।
প্রশ্নঃ-১৩১ পল্লী বিদ্যুতায়নে কোন ধরনের পোল বেশি ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুতায়নে কাঠের পোল বেশি ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-১৩২ HT ক্যাবল এ কি কি উপাদান থাকে?
উত্তরঃ HT ক্যাবল এ নিম্নোক্ত উপাদান গুলো থাকে।
যথাঃ
সার্ভিং, আর্মিং, বেডিং, লিড শীত, পেপার ইনসুলেটর, কন্ডাক্টর।
প্রশ্নঃ-১৩৩ ওভারহেড লাইনে ব্যবহৃত আর্থিং তারের সাইজ কত?
উত্তরঃ ওভারহেড লাইনে ব্যবহৃত আর্থিং তারের সাইজ 50 mm2 (৫০ এম.এম. স্কয়ার) Copper Wire.
প্রশ্নঃ-১৩৪ H- টাইপ পোল কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ১৬০ মিটার পর্যন্ত অর্থাৎ দীর্ঘ স্পান বিশিষ্ট ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনে H টাইপ পোল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া লাইনের যে স্থানে সুইচ গিয়ার বা ট্রান্সফরমার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় সেই সকল স্থানে H টাইপ পোল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ-১৩৫ পাওয়ার ফ্যাক্টর কি? পাওয়ার ফ্যাক্টর কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ এসি সার্কিটের কারেন্ট ও ভোল্টেজ এর মধ্যবর্তী কোণের ফেজ এঙ্গেলের কোসাইন মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে। একে cose দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
পাওয়ার ফ্যাক্টর তিন প্রকার। যথাঃ
১। ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Lagging Power Factor)
২। লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading Power Factor)
৩। ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর (Unity Power Factor)
প্রশ্নঃ-১৩৬ ল্যাগিং, লিডিং ও ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর কাকে বলে?
উত্তরঃ ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর হলো যখন কারেন্ট ভোল্টেজের থেকে পিছিয়ে থাকে বা এসি সার্কিটে ক্যাপাসিটিভ লোডের চেয়ে ইন্ডাক্টিভ লোড বেশী হলে তাকে ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
যেমন ৮০ ডিগ্রী ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলতে বুঝায় কারেন্ট ভোল্টেজের সাপেক্ষে ৮০ ডিগ্রী পিছিয়ে আছে।
লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
এসি সার্কিটে ইন্ডাক্টিভ লোডের চেয়ে ক্যাপাসিটিভ লোড বেশি হলে অর্থাৎ কারেন্ট ভোল্টেজের চেয়ে এগিয়ে থাকলে তাকে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
যেমন ৮০ ডিগ্রী লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর হলো কারেন্ট ভোল্টেজে চেয়ে ৮০ ডিগ্রী এগিয়ে থাকবে।
ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ
সার্কিটে কারেন্ট এবং ভোল্টেজ যখন একই সাথে অবস্থান করে অর্থাৎ সার্কিটে ইন্ডাক্টিভ এবং ক্যাপাসিটিভ লোড যখন সমান হয় তখন তাকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
যদি লোড Capacitive হয় তাহলে পাওয়ার ফ্যাক্টর লিডিং হয় আর যদি লোড Inductive হয় তাহলে পাওয়ার ফ্যাক্টর ল্যাগিং হয়। লোড Resistive হলে পাওয়ার ফ্যাক্টর Unity হয়, অর্থাৎ ‘এক’।
প্রশ্নঃ-১৩৭ পাওয়ার ফ্যাক্টর কেন ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর ব্যবহার করা হয়, শতকরা কত ভাগ কারেন্ট আমরা প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতে পারি তা নির্ণয়ের জন্য। অর্থাৎ ইনপুটে সাপ্লাই যদি ১০০ কিলো ভোল্ট দেওয়া হয় তবে সেখান থেকে আউটপুটে কত ভোল্ট পেলাম এটা নির্ণয়ের জন্য পাওয়ার ফ্যাক্টর
ব্যবহার করা হয়। একে কস থিটা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
প্রশ্নঃ-১৩৮ পাওয়ার ফ্যাক্টর ৮০% বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর ৮০% অর্থাৎ Cose= ০.৮ বলতে বুঝি ১০০ kVA সাপ্লাই পাওয়ার হলে ৮০ কিলোওয়াট একটিভ পাওয়ার পাওয়া যাবে। পাওয়ার ফ্যাক্টর লোড এর উপর নির্ভর করে।
প্রশ্নঃ-১৩৯ কি কি উপায়ে পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নতি করা যায়?
উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর Correction বলতে আমরা সহজে বুঝি কোন একটা সিস্টেমে Reactive পাওয়ার এর পরিমান কমিয়ে Active পাওয়ার এর পরিমান বাড়ানো। আমরা সাধারনত ক্যাপাসিটর ব্যাংক অথবা সিংক্রোনাস মোটর ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর Correction ও Improve করে থাকি। ইন্ডাস্ট্রিতে Capacitor Bank ব্যবহার করে পাওয়ার ফ্যাক্টর Correction করা হয়। আমরা এক যায়গায় বড় ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার না করে প্রত্যেক লোডে ক্যাপাসিটর ব্যাংক ব্যবহার করতে পারি। অথবা যে সব লোড লো পাওয়ার ফ্যাক্টর এর জন্য দায়ী সে সব লোড এর ব্যবহার কমিয়েও পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভ করতে পারি।
প্রশ্নঃ-১৪০ পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কম হলে সিস্টেমে কি অসুবিদা হয়?
উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কম হলে সিস্টেমে নিম্নোক্ত অসুবিদা গুলো হয়ে থাকে। যথাঃ
১। লাইন লস বৃদ্ধি হয়ে থাকে।
২। তারের ক্যাবলের আয়তন অনেক বেশি প্রয়োজন হয়।
৩। পাওয়ার সিষ্টেমের দক্ষতা কমে যায়।
৪। প্রাথমিক খরচ বেড়ে যায় তাই পার ইউনিট Coast বেশি হয়।
Image: ABC লাইসেন্স ভাইভা প্রস্তুতি |