ABC লাইসেন্স (B) এর জন্য ভাইভা বোর্ডের কমন প্রশ্নোত্তর পর্ব-০২
প্রশ্নঃ-৫৫ অ্যামিটার শান্ট কি?
উত্তরঃ অ্যামিটারের মুভিং কয়েলের সাথে যুক্ত থাকা নিম্ন মানের রেজিস্টেন্স কে অ্যামিটার শান্ট বলে।
প্রশ্নঃ-৫৬ ফিউজিং কারেন্ট কি?
উত্তরঃ সর্বনিম্ন যে পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হলে ফিউজ তার গলে যায় তাকে ঐ ফিউজের ফিউজিং কারেন্ট বলে।
প্রশ্নঃ-৫৭ মানবদেহে রেজিস্ট্যান্স কত?
উত্তরঃ মানবদেহে রেজিস্ট্যান্স ১,০০০ ওহম।
প্রশ্নঃ-৫৮ LT ক্যাবলের ভোল্টেজ গ্রেটিং কত?
উত্তরঃ LT ক্যাবলের ভোল্টেজ গ্রেটিং ১,০০০ ভোল্টেজ পর্যন্ত।
প্রশ্নঃ-৫৯ সাবমেরিন ক্যাবল কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ নদী ও সাগরের নিচ দিয়ে ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার পরিবহনের জন্য সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্নঃ-৬০ ডিস্ক ইনসুলেটর এর রেজিস্ট্যান্স কত?
উত্তরঃ একটি ডিস্ক ইনসুলেটর এর রেজিস্ট্যান্স ১১ কেভি।
প্রশ্নঃ-৬১ পাওয়ার সাব সার্কিটে সর্বোচ্চ কত ওয়াট লোড থাকতে পারে?
উত্তরঃ পাওয়ার সাব সার্কিটে সর্বোচ্চ ৩,০০০ ওয়াট লোড থাকতে পারে।
প্রশ্নঃ-৬২ মেগারের সাহায্যে সর্বনিম্ন কত রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়?
উত্তরঃ মেগারের সাহায্যে সর্বনিম্ন ৫০০ কিলো ওহম রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়।
প্রশ্নঃ-৬৩ তার বা ক্যাবলের ইনসুলেশন গ্রেট কিসের উপর নির্ভর করে?
উত্তরঃ তার বা ক্যাবলের ইনসুলেশন গ্রেট এদের কারেন্ট বহন ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।
প্রশ্নঃ-৬৪ মেগার কি?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চ মানের রেজিস্ট্যান্স বা ইনসুলেশন পরিমাপ করা যায় তাকে মেগার বলে।
প্রশ্নঃ-৬৫ মেগার কোন ধরনের সরবরাহে কাজ করে?
উত্তরঃ মেগার ডিসি সরবরাহে কাজ করে।
প্রশ্নঃ-৬৬ মেগার দিয়ে কি পরিমাপ করা যায়?
উত্তরঃ মেগার দিয়ে রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা যায়।
প্রশ্নঃ-৬৭ মেগারের গতি কত?
উত্তরঃ মেগারের গতি মিনিটে ১২০ বার।
প্রশ্নঃ-৬৮ টাইমার কি?
উত্তরঃ টাইমার হলো, এক ধরনের টাইম সুইচিং ডিভাইস
যা বৈদ্যুতিক সার্কিট এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কে টাইম সেটিং এর মাধ্যমে (অন-অফ) কন্ট্রোল ও নিয়ন্ত্রন করে থাকে। টাইমার মূলত ৮ পিনের হয়ে থাকে এবং তার বেস ও ৮ পিনের হয়।
প্রশ্নঃ-৬৯ টাইমার এর কোন পয়েন্টে সাপ্লাই দেওয়া হয়?
উত্তরঃ টাইমার এর 2 এবং 7 নম্বর পিনে সাপ্লাই দেওয়া
প্রশ্নঃ-৭০ সিমেট্রিক্যাল ও আন সিমেট্রিক্যাল ফল্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ সিমেট্রিক্যাল ফল্টঃ
বৈদ্যুতিক সিস্টেমে যে ফল্টের কারণে প্রতিটি ফেজে সম পরিমাণ হট কারেন্ট প্রবাহিত হয় সে ফল্টকে সিমেট্রিক্যাল ফল্ট বলে । সিমেট্রিক্যাল ফল্টের মাধ্যমে সার্কিট ব্রেকারের রেটিং নির্ধারণ করা হয়।
আন সিমেট্রিক্যাল ফন্টঃ
বৈদ্যুতিক সিস্টেমে যে ফল্টের কারনে প্রতিটি ফেজে অসম ফন্ট কারেন্ট প্রবাহিত হয় সে ফল্টকে আন সিমেট্রিক্যাল ফল্ট বলে। আন সিমেট্রিক্যাল ফন্টের মাধ্যমে রিলে সেট করা হয়।
প্রশ্নঃ-৭১ শর্ট সার্কিট কাকে বলে?
উত্তরঃ বিপরীতধর্মী তড়িৎ এর দুটি লাইন বা তড়িৎ কোষের দুই বিপরীত মেরু খুব অল্প রোধের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে গেলে বর্তনীতে তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা খুব বেড়ে যায়। একে শর্ট সার্কিট বলে।
শর্ট সার্কিট হলে প্রচুর তাপ সৃষ্টি হয়ে লাইনে আগুন ধরে যেতে পারে। লোড বিহীন অবস্থায় বা রেজিস্ট্যান্স বিহীন
অবস্থায় যদি লাইন টু লাইন, লাইন টু নিউট্রাল, লাইন টু গ্রাউন্ড, পজেটিভ টু নেগেটিভ একে অপরের সংস্পর্শে চলে আসে তখন তাকে শর্ট সার্কিট বলে।
প্ৰশ্নঃ-৭২ এনার্জি মিটার কি?
উত্তরঃ বৈদ্যুতিক এনার্জি পরিমাপের জন্যে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় তাকে এনার্জি মিটার বলে।
প্ৰশ্নঃ-৭৩ এভো মিটার কি?
উত্তরঃ কারেন্ট, ভোল্টেজ ও রেজিস্ট্যান্স মাপার জন্য যে বৈদ্যুতিক যন্ত্র বা ডিভাইস ব্যবহার করা হয় তাকে AVO মিটার বা মাল্টিমিটার বলে। যার পূর্ণ রূপ হলঃ
A = Ammeter
V = Voltmeter
0 = Ohmmeter
1. Ammeter: অ্যামিটার হচ্ছে একটা কম রোধযুক্ত এবং অ্যাম্পিয়ার অংশাঙ্কিত মুভিং কয়েল গ্যালভানোমিটার। এর সাহায্যে কোন সার্কিটে অ্যাম্পিয়ার এককে তড়িৎ প্রবাহের মান নির্ণয় করা হয়।
2. Voltmeter: ভোল্ট মিটার হচ্ছে শ্রেনী সমবায়ে বেশী মানের একটা রোধযুক্ত এবং ভোল্টেজ অংশাঙ্কিত মুভিং কয়েল গ্যালভানোমিটার। এর সাহায্য সার্কিটের যে কোন
দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব বৈষম্য এর ভোল্টেজ পরিমাপ করা যায়।
3. Ohmmetar:
মিটারের সাহায্যে তড়িৎ প্রবাহের রোধ বা রেজিস্ট্যান্স মাপা হয় তাকে ওহম মিটার বলে। বৈদ্যুতিক কাজকর্মে AVO মিটারের গুরুত্ব অপরিসীম। এ মিটার দ্বারা আমরা খুব সহজেই এসি ও ডিসি কারেন্ট এর এ্যাম্পিয়ার, ভোল্টেজ ও রোধ পরিমাপ করতে পারি।
প্রশ্নঃ-৭৪ ক্লিপ অন মিটার কি?
উত্তরঃ যে ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবারহ লাইনের যে কোন তার বা ক্যাবল ক্লাম্প করে কারেন্টের মান অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা যায়, তাকে ক্লিপ অন মিটার বলে।
প্রশ্নঃ-৭৫ ক্লিপ অন মিটার কি কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ Clip on Meter হচ্ছে এক ধরনের Electrical Tester, যাকে ব্যবহার করে High Value এর কারেন্টকে কোনো রকম সংযোগ ছাড়াই মাপা হয়। এর মধ্যে এক ধরনের Jaw বা আঁকড়ে ধরার
মত অংশ থাকে যেটিকে ব্যবহার করে কোনো মোটা Conductor কে আঁকড়ে ধরা যায়। মূলত উচ্চ মানের Alternating কারেন্টকে মাপার জন্য এটিকে বেশি ব্যবহার করা হয়।
প্ৰশ্নঃ-৭৬ সার্ভিস কানেকশন কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ বিদ্যুতের চাহিদার পরিমাণ ও সরবরাহ ভোল্টেজের মানের উপর ভিত্তি করে সার্ভিস কানেকশন কে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ
1. Low Voltage Single Phase Service Connection
2. Medium Voltage 3 Phase Service Connection
3. High Voltage Service Connection
যেসব গ্রাহকদের কেবলমাত্র সিঙ্গেল ফেজ সরবরাহ প্রয়োজন এবং সর্বাধিক চাহিদা 4kw এর বেশি নয়, যেমন- ছোট ছোট বাড়ি, দোকান ঘর ইত্যাদি, তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য Low Voltage (230v ) Single Phase Service Connection করা হয়।
ছোট বা মাঝারি শিল্প সংস্থায় ও বড় বড় বাড়িতে যাদের বিদ্যুতের চাহিদা 50kw এর বেশি নয় তাদের জন্য মিডিয়াম ভোল্টেজ (400v) Three Phase সার্ভিস কানেকশন করা হয়। বৃহৎ শিল্প সংস্থা এবং বহু তলা বিশিষ্ট বাড়িতে বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকায় সেসব ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য হাই ভোল্টেজ (110000
or 33000v) Service Connection করা হয়। সার্ভিস কানেকশন ওভারহেড লাইনের অথবা আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল এর সাহায্যে দেওয়া হয়।
প্রশ্নঃ-৭৭ সার্ভিস কানেকশনে সাধারনত কয়টি তার থাকে?
উত্তরঃ সিঙ্গেল ফেজ সার্ভিস লাইনে 3 টি তার টানা হয়। তার গুলো হলঃ
ফেজ তার, নিউট্রাল তার এবং আর্থ তার। থ্রী- ফেজ সার্ভিস লাইনে 5 টি তার টানা হয়।
তার গুলো হলঃ
3 টি ফেজ তার, 1 টি নিউট্রাল তার এবং 1 টি আর্থ তার।
প্রশ্নঃ-৭৮ একটি সিলিং ফ্যান সাধারণত কত ওয়াটের হয়ে থাকে?
উত্তরঃ একটি সিলিং ফ্যান সাধারণত 70 থেকে 80 ওয়াটের হয়ে থাকে।
প্ৰশ্নঃ-৭৯ হাউজ ওয়্যারিং এ ব্যবহৃত তারের কারেন্ট বহন ক্ষমতা লোড কারেন্টের কত গুণ হওয়া উচিত?
উত্তরঃ হাউজ ওয়্যারিং এ ব্যবহৃত তারের কারেন্ট বহন ক্ষমতা লোড কারেন্টের 1.5 গুণ হওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ-৮০ অ্যামিটার ও ভোল্ট মিটার লোডের সাথে কিভাবে লাগাতে হয়?
উত্তরঃ অ্যামিটার সিরিজে ও ভোল্ট মিটার প্যারালালে
লোডের সাথে লাগাতে হয়।
প্ৰশ্নঃ-৮১ এনার্জি মিটার এ কয়টি কয়েল থাকে ও কি কি?
উত্তরঃ এনার্জি মিটার এ দুইটি কয়েল থাকে। যথাঃ
১। একটি হল- কারেন্ট কয়েল
২। অপরটি হল- প্রেসার কয়েল
প্রশ্নঃ-৮২ এনার্জি মিটার এর কয়েল গুলো কিভাবে কানেকশন করতে হয়?
উত্তরঃ এনার্জি মিটার এর কয়েল গুলো নিম্নোক্তভাবে কানেকশন করতে হয়। যথাঃ
কারেন্ট কয়েল সিরিজে ও প্রেসার কয়েল প্যারালালে সংযোগ করতে হয়।
প্ৰশ্নঃ-৮৩ ওয়াট মিটার এর কয়টি কয়েল থাকে ও কি কি?
উত্তরঃ ওয়াট মিটার এ দুইটি কয়েল থাকে। যথাঃ
১। একটি হল- কারেন্ট কয়েল
২। অপরটি হল- প্রেসার কয়েল।
প্ৰশ্নঃ-৮৪ এনার্জি মিটার ও ওয়াট মিটার এর দুটি করে কয়েল থাকে তাহলে এদের ভিতর পার্থক্য কি?
উত্তরঃ এনার্জি মিটার ও ওয়াট মিটার এর মধ্যে মূল
পার্থক্য হলঃ এনার্জি মিটারে অতিরিক্ত একটি রেকর্ডিং
মেকানিজম থাকে।
প্রশ্নঃ-৮৫ পাওয়ার লাইন কোথায় থেকে টানা হয়?
উত্তরঃ ডিস্ট্রিবিউশন বোর্ড থেকে প্রত্যেকটি পাওয়ার লোডের জন্য আলাদা আলাদা পাওয়ার লাইন টানা হয়।
প্রশ্নঃ-৮৬ লিফট চালাতে কোন মোটর ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ আগে ডিসি সিরিজ মোটর বা স্লিপ রিং এসি মোটর ব্যবহৃত হত। এখন ইনভার্টার (ভেরিয়েবল ফ্রিকুয়েন্সি ড্রাইভ) দিয়ে ইন্ডাকশন মোটর চালনা করা হয়।
প্ৰশ্নঃ-৮৭ মেগার মিটার কি? ইহা কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ মেগার এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্যে বৈদ্যুতিক বর্তনী, মেশিন, ট্রান্সফর্মার ইত্যাদির ইনসুলেশন রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা হয়। মেগারকে একটি হস্ত চালিত জেনারেটর বলা হয় যা 1889 সাল হতে ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে 1920 সালের পর থেকে এর ব্যবহার ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে অনেক আধুনিক অপশনসহ বিভিন্ন সংস্করণের মেগার মিটারবাজারজাত হচ্ছে যা এর প্রয়োগ এবং ব্যবহারকে আরও সহজ করে তুলেছে।
প্রশ্নঃ-৮৮ মেগার মিটার ঠিক আছে কি কিনা তা কিভাবে জানা যায়?
উত্তরঃ মেগার ঠিক আছে কিনা তাহা নিম্নলিখিত পরীক্ষার সাহায্যে জানা যায়ঃ
মেগারের দুই টার্মিনালের সাথে দুইটি তার সংযোগ করে উহার হ্যান্ডেল কে ঘুরাইতে হবে। যখন মেগারের হ্যান্ডেল ইজি হয়ে যাবে। অর্থাৎ উহাতে ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে তখন টার্মিনালের সংযুক্ত তার দুইটিকে শর্ট করে দিলে
যদি মেগারের কাটা শূন্যতে আসে তবে বুঝতে হবে যে মেগারটি ঠিক আছে। আর যদি মেগারের কাটা শূন্যতে না আসে তবে বুঝতে হবে যে মিটারটি ঠিক নেই।
প্রশ্নঃ-৮৯ রিলে কি? রিলের প্রকারভেদ লিখ।
উত্তরঃ রিলে এক প্রকার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক যন্ত্র বা তড়িৎ চুম্বকীয় যন্ত্র বিশেষ। এতে একটি কয়েল থাকে যেখানে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়ার সাথে সাথে একটি অস্থায়ী বৈদ্যুতিক চুম্বক সৃষ্টি হয় এবং সুইচটি অন অথবা অফ করতে পারে।
প্রশ্নঃ-৯০ করোনা কি?
উত্তরঃ যখন দুইটি কন্ডাক্টর এর স্পেসিং ব্যাসের তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়িতে AC ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে বাড়ানো হয় তখন একটি পর্যায় আসে। এই বিশেষ পর্যায়ে কন্ডাক্টরের চারপাশে বাতাস
ইলেক্ট্রস্ট্যাটিক স্ট্রেস হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইনসুলেশন স্ট্রেংথ ভেঙ্গে যায়। এই অবস্থায় কন্ডাক্টরের চারপাশে জিম জিম শব্দসহ হালকা অনুজ্জ্বল বেগুনী রশ্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়, এই অবস্থা করোনা নামে পরিচিত।
প্রশ্নঃ-৯১ করোনা দূর করার উপায় কি?
উত্তরঃ পরিবাহীর মধ্যবর্তী দূরত্ব বৃদ্ধি করে করোনা কমানো যায়।
প্রশ্নঃ-৯২ ইনসুলেটরের কি কি গুনাবলী থাকা দরকার?
উত্তরঃ ইনসুলেটরের যে সকল গুনাবলী থাকা দরকার তা নিচে দেওয়া হলঃ
১। কন্ডাক্টর লোড, বাতাসের চাপ ইত্যাদি সহ্য করার জন্য উচ্চ যান্ত্রিক শক্তি সম্পন্ন হতে হবে।
২। আর্থ কারেন্ট লিকেজ এড়ানোর জন্য ইনসুলেটর পদার্থে হাই ইলেকট্রিক্যাল রেজিস্ট্যান্স থাকতে হবে।
৩। ইনসুলেটরের উপাদান নিশ্ছিদ্র ও ভেজাল মুক্ত হওয়া উচিত, তা না হলে এর কার্যকারিতা কমে যাবে।
8। ফ্ল্যাশওভারে (Flashover) খাঁচের (Puncture) অনুপাত সঠিক রাখতে হবে।
৫। ইহার ভিতরে যাতে গ্যাস বা তরল পদার্থ প্রবেশ করতে না পারে তাহার গুনাগুন থাকতে হবে।
৬। ইহার অধিক ভোল্টেজ সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
৭। তাপের তারতম্যের জন্য ইহার কোন প্রতিক্রিয়া হতে পারবে না।
৮। ইহা ছিদ্র মুক্ত হতে হবে।
প্রশ্নঃ-৯৩ ইনসুলেশন রেজিস্ট্যান্স এর মান সর্বনিম্ন কত হওয়া উচিত?
উত্তরঃ ইনসুলেশন রেজিস্ট্যান্স এর মান সর্বনিম্ন 50 মেগা ওহম হওয়া উচিত।
প্রশ্নঃ-৯৪ তারের ইন্সুলেশন গ্রেট কিসের উপর নির্ভরশীল?
উত্তরঃ তারের ইন্সুলেশন গ্রেট ভোল্টেজ এর উপর নির্ভরশীল।
প্ৰশ্নঃ-৯৫ ফিউজিং ফ্যাক্টর কি?
উত্তরঃ ফিউজের মিনিমাম ফিউজিং কারেন্ট ও কারেন্ট রেটিং এর ফিউজ এর অনুপাতকে ফিউজিং ফ্যাক্টর বলে। তাহলে, ফিউজিং ফ্যাক্টর = সর্বনিম্ন ফিউজিং কারেন্ট/কারেন্ট রেটিংয়ের ফিউজ এলিমেন্ট। এর মান সব সময় 1 এর চেয়ে বড় হয়।
প্রশ্নঃ-৯৬ ফিউজিং ফ্যাক্টর সব সময় কত হবে?
উত্তরঃ ফিউজিং ফ্যাক্টর সব সময় হবে নরমাল কারেন্ট এর দ্বিগুন হবে।
প্রশ্নঃ-৯৭ ফিউজ তার কিসের তৈরি?
উত্তরঃ ফিউজ তার- রূপা, টিন, সিসার মিশ্রনে সংকর ধাতুর তৈরি।
প্রশ্নঃ-৯৮ ফিউজ কখন অপারেট হয়?
উত্তরঃ রেটেড কারেন্ট অপেক্ষা বেশি কারেন্ট প্রবাহিত
হলে ফিউজ অপারেট হয়।
প্রশ্নঃ-৯৯ শর্ট সার্কিট কারেন্ট কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন কারনে লাইনে শর্ট সার্কিট হলে তখন অধিক পরিমানে কারেন্ট খুব অল্প সময়ের জন্য প্রবাহিত হয় যাকে শর্ট সার্কিট কারেন্ট বলে।
প্রশ্নঃ-১০০ শর্ট সার্কিট কারেন্ট নির্নয় করার পদ্ধতি কি কি?
উত্তরঃ শর্ট সার্কিট কারেন্ট নির্ণয় করার পদ্ধতি তিনটি।
যথাঃ
১। ওহমিক পদ্ধতি
২। পার ইউনিট পদ্ধতি
৩। পার্সেন্টেজ রিয়্যাকট্যান্স পদ্ধতি।
প্রশ্নঃ-১০১ ফিউজ কি? ফিউজ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ফিউজ একটি বৈদ্যুতিক সুরক্ষা ডিভাইস যা বৈদ্যুতিক সার্কিটগুলি সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ফিউজ টিন ও সীসার একটি সংকর ধাতুর তৈরি ছোট সরু তার, যখনই বৈদ্যুতিক সার্কিটে প্রচুর পরিমাণে তড়িৎ প্রবাহ থাকে তখন ফিউজ গলে যায় এবং এটি সার্কিট টি খোলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে এটি
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। গঠন অনুযায়ি ফিউজ তিন প্রকার। যথাঃ
১। রি- ওয়্যারেবল ফিউজ
২। কার্টিজ ফিউজ
৩। এইচ আর সি ফিউজ
ভোল্টেজ অনুসারে ফিউজ দুই প্রকার। যথাঃ
১। লো- ভোল্টেজ ফিউজ
২। হাই- ভোল্টেজ ফিউজ
প্রশ্নঃ-১০২ রিলে কি? রিলে কাকে বলে?
উত্তরঃ রিলে হলো এমন এক ধরনের সুইচ যা সার্কিট কে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ভাবে ক্লোজ ও ওপেন করে থাকে অর্থাৎ সার্কিটকে ক্লোজ ও ওপেন করার জন্য রিলে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ-১০৩ রিলে কিভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ প্রত্যেকটা রিলে (Relay) এর দুটি সোর্স পিন থাকে। ওই সোর্স পিন দুটি তে একটি কয়েল সংযুক্ত থাকে। যখন ওই কয়েলে ভোল্টেজ দেওয়া হয় তখন কয়েলে ম্যাগনেট উৎপাদন হয়। কয়েলে ম্যাগনেট হলে কয়েলের পাশে থাকা লোহার পাতকে কয়েলটি আকর্ষণ করে টান দেয়। এভাবে ম্যাগনেটের মাধ্যমে রিলে সুইচিং হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্নঃ-১০৪ রিলে কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ রিলে ভোল্টেজ অনুযায়ী দুই প্রকার। যথাঃ
1. AC Realy
2. DC Realy
AC রিলে এর মধ্যে 5v, 6v, 12v, 24v, 110v, 220v, 440V হয়ে থাকে।
DC রিলে এর মধ্যে 5v, 6v, 12v, 24v, 110v, 220v, 440V হয়ে থাকে।
রিলে সাধারণত এই সকল ভোল্টেজের হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন অ্যাম্পিয়ারের হয়ে থাকে কার্যক্ষেত্রে ইউজ করার জন্য।
প্রশ্নঃ-১০৫ রিলে কিভাবে ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ প্রত্যেকটা রিলে এর গায়ে এটি ব্যবহারের ডায়াগ্রাম এবং এটি কত ভোল্টেজ এর ও কত অ্যাম্পিয়ার এর লেখা থাকে। এই অ্যাম্পিয়ার ও ভোল্টেজ অনুযায়ী এটি কার্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রিলে এর গায়ে যদি এর ভোল্টেজ ও অ্যাম্পিয়ার লেখা না থাকে তাহলে রিলের মধ্যে যে কয়েল থাকে ওই কয়েল ভোল্টেজ এবং অ্যাম্পিয়ার লেখা থাকবে। এই ভোল্টেজ ও অ্যাম্পিয়ার অনুযায়ী রিলে কার্যক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ-১০৬ সার্কিট ব্রেকার কি?
উত্তরঃ সহজ ভাষায় বলতে গেলে সার্কিট ব্রেকার একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র যা নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ এটি এমন একটি ডিভাইস যা ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিকে নিরাপদ রাখে। যখন লাইনে অতিরিক্ত পরিমান বিদ্যুৎ প্রবাহ হয় তখন (যন্ত্রপাতিতে) যেকোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যা সার্কিট ব্রেকার রক্ষা
করে থাকে। অর্থাৎ Circuit Breaker এমন এক ধরনের যন্ত্র যা একটি সার্কিট কে খুলে বা বন্ধ করে দিতে পারে সব কন্ডিশনে (নো-লোড কন্ডিশন, ফুল-লোড কন্ডিশন এবং ফল্ট বা ত্রুটিপূর্ণ কন্ডিশনে)। অন্যভাবে বলতে গেলে, Circuit Breaker এমন একটি যন্ত্র যা ত্রুটিপূর্ণ লাইনকে আপনা আপনি বা স্বয়ংক্রিয় ভাবে সোর্স হতে বিচ্ছিন্ন করে থাকে।
প্রশ্নঃ -১০৭ সার্কিট ব্রেকার কোন নীতিতে কাজ করে?
উত্তরঃ সার্কিট ব্রেকার- থার্মাল ও তড়িৎ চুম্বকীয় নীতিতে কাজ করে।
প্রশ্নঃ-১০৮ সার্কিট ব্রেকার এর রেটিং কি?
উত্তরঃ সার্কিট ব্রেকার এক প্রকার ইলেট্রিক্যাল সুইচিং ডিভাইস। এটি অতিরিক্ত করেন্ট থেকে বৈদ্যুতিক লোডকে রক্ষা করে। সার্কিটে অতিরিক্ত কারেন্ট প্রবাহ হলে এটির যে সুইচ থাকে তা অটোমেটিক অফ হয়ে যায়। কিন্তু অটোমেটিক অন হতে পারে না এটি হাত দিয়ে অন করে দিতে হয়। বাজারে বিভিন্ন অ্যাম্পিয়ার রেটিং এর ব্রেকার পাওয়া যায়। যেমন- 5A, 10A, 16A, 20A, 32A, 64A ইত্যাদি।
Image: ABC লাইসেন্স ভাইভা প্রস্তুতি |